সিঙ্গাপুর টাকার রেট কত | সিঙ্গাপুর ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

Telegram Group Join Now

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা , টেক যুক্তি ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আজ আমি আপনাদের জানাবো সিঙ্গাপুর টাকার রেট কত – সিঙ্গাপুর ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ দেশ এবং শহর-রাষ্ট্র। এটি প্রায় এক অক্ষাংশের ডিগ্রী (১৩৭ কিলোমিটার অথবা ৮৫ মাইল) নিরক্ষীয় উত্তরে, মালয় উপদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত পশ্চিমে মালাক্কা প্রণালী, দক্ষিণে সিঙ্গাপুর প্রণালী, পূর্বে দক্ষিণ চীন সাগর এবং উত্তরে জোহর প্রণালী। এটির ভূখণ্ডের মধ্যে একটি সিঙ্গাপুর দ্বীপ দেশটির স্বাধীনতার পর থেকে ব্যাপক ভূমি পুনরুদ্ধার প্রকল্পের ফলে এর সম্মিলিত এলাকা প্রায় ২৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। সিঙ্গাপুর বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম বন্দর এবং অর্থব্যবস্থা ও সেবা সেক্টরে সমৃদ্ধ।

Table of Contents

সিঙ্গাপুর টাকার রেট কত

চলুন দেখে নেওয়া যাক, আজকে সিঙ্গাপুর মুদ্রায় বাংলাদেশি টাকার রেট কত। সিঙ্গাপুর এর ১ ডলার সমান আজকে বাংলাদেশি টাকার মূল্য ৮৭.১১ টাকা ।এই টাকার এক্সচেন্জ রেট পাওয়া যাবে, বিভিন্ন বাংলাদেশি ব্যাংকে।বিকাশে সিঙ্গাপুর এর ১ ডলার সমান আজকে বাংলাদেশি টাকার মূল্য ৮৭.১১ টাকা ।ক্যাশের মাধ্যমে নিতে চাইলেও আজকে এক্সচেন্জ রেট পাবেন ৮৭.১১ টাকা।সিঙ্গাপুর ডলারের বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী, ১ সিঙ্গাপুরী ডলার (SGD) সমান প্রায় ৮৭.১১ বাংলাদেশি টাকা (BDT)।

সিঙ্গাপুর টাকার মান কত

মাধ্যমসিঙ্গাপুর ডলারসমান (বাংলাদেশি টাকা)
ব্যাংক৮৭.১১ টাকা
বিকাশ৮৭.১১ টাকা
ক্যাশ৮৭.১১ টাকা
আজকে সিঙ্গাপুরী ডলার (SGD) এর বাংলাদেশি টাকার রেট দেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন দেশের টাকার রেট

বিভিন্ন দেশের টাকার রেট জানতে নিচের ছক থেকে সেই দেশের নামে ক্লিক করুন এবং লাইভ টাকার রেট জেনে নিন।

সৌদি আরবমালয়েশিয়াকাতার
দুবাইকিরগিজস্তান ইতালি
গ্রিসপর্তুগাল ভিয়েতনাম
কানাডাকুয়েতমালদ্বীপ
ওমানফ্রান্সফিনল্যান্ড
সিঙ্গাপুর সুইজারল্যান্ড ভূটান
স্পেনইরাককসোভো
নেদারল্যান্ডসজার্মানিসিরিয়া
নেপালআমেরিকাপাকিস্থান
বিভিন্ন দেশের টাকার রেট সম্পর্কে জানতে উপরের দেওয়া লিংকে ক্লিক করুন।

সিঙ্গাপুর নামাজের সময়সূচী ২০২৪

সিঙ্গাপুরের নামাজের সময়সূচী ২০২৪ সাল অনুযায়ী নিম্নরূপ:

জানুয়ারি ২০২৪:

  • ফজর: ৫:৫৪ এএম
  • সূর্যোদয়: ৭:০৯ এএম
  • যোহর: ১:১২ পিএম
  • আছর: ৪:৪১ পিএম
  • মাগরিব: ৭:১৫ পিএম
  • ইশা: ৮:৩০ পিএম

জুলাই ২০২৪:

  • ফজর: ৫:৪৫ এএম
  • সূর্যোদয়: ৭:০৭ এএম
  • যোহর: ১:১৩ পিএম
  • আছর: ৪:৩৫ পিএম
  • মাগরিব: ৭:১৭ পিএম
  • ইশা: ৮:৩০ পিএম

নামাজের সময়সূচী সঠিকভাবে জানার জন্য এবং সিঙ্গাপুরের পুরো বছরের সময়সূচী পেতে, আপনি Majlis Ugama Islam Singapura (MUIS) এবং IslamicFinder ও Muslim Pro ওয়েবসাইটগুলো দেখতে পারেন।

সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি

২০২৪ সালে সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন সেক্টরে কিছু বিশেষ কাজের চাহিদা বেশি। এই কাজগুলো হল:

  1. ডেটা সায়েন্টিস্ট: ডিজিটালাইজেশনের ফলে ডেটা সায়েন্টিস্টদের চাহিদা বাড়ছে যারা জটিল ডেটা সেট বিশ্লেষণ করে এবং কোম্পানিগুলিকে ডেটা-চালিত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
  2. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) বিশেষজ্ঞ: AI বিশেষজ্ঞদের চাহিদা রয়েছে যারা AI সমাধানগুলি বিকাশ ও বাস্তবায়ন করে এবং অটোমেশন প্রক্রিয়াগুলি বাড়ায়।
  3. সাইবারসিকিউরিটি বিশ্লেষক: ডিজিটাল হুমকির বৃদ্ধি হওয়ায়, সংবেদনশীল তথ্য রক্ষা এবং সাইবার আক্রমণ থেকে প্রতিরোধ করার জন্য সাইবারসিকিউরিটি বিশ্লেষকদের প্রয়োজন।
  4. ক্লাউড সলিউশন আর্কিটেক্ট: আরো বেশি ব্যবসা ক্লাউড-ভিত্তিক সিস্টেমে মাইগ্রেট করায়, ক্লাউড সলিউশন আর্কিটেক্টদের প্রয়োজন ক্লাউড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডিজাইন ও পরিচালনা করতে।
  5. ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপার: এই ডেভেলপারদের চাহিদা রয়েছে যারা বিস্তৃত এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারে।
  6. স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবী: নার্স, ডাক্তার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজন বৃদ্ধ জনসংখ্যার সেবা ও স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন মেটাতে।
  7. ইউজার এক্সপেরিয়েন্স (UX) ডিজাইনার: UX ডিজাইনারদের প্রয়োজন ডিজিটাল অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব করতে।
  8. বিক্রয় ও ব্যবসায়িক উন্নয়ন ম্যানেজার: এই পেশাদাররা রাজস্ব বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন শিল্পে মূল্যবান অংশীদারিত্ব তৈরি করে।
  9. ফিনান্সিয়াল অ্যানালিস্ট: ফিনান্সিয়াল অ্যানালিস্টরা গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ডেটা বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য কাজ করেন।

সিঙ্গাপুর বেতন কত

সিঙ্গাপুরে বেতনের পরিসর বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্র ও কর্মীর অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। ২০২৩ সালে সিঙ্গাপুরে পূর্ণ-সময়ের কর্মীদের মাসিক গড় আয় ছিল প্রায় S$৫,১৯৭ (শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় প্রভিডেন্ট ফান্ড বা CPF অন্তর্ভুক্ত)।

বয়সের ভিত্তিতে, বিভিন্ন বয়সের গ্রুপে বেতনের গড় হার নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • ২০-২৪ বছর: S$৩,০৪২
  • ২৫-২৯ বছর: S$৪,৬৮০
  • ৩০-৩৪ বছর: S$৫,৮৫০
  • ৩৫-৩৯ বছর: S$৬,৭১৮
  • ৪০-৪৪ বছর: S$৭,০৯৮
  • ৪৫-৪৯ বছর: S$৬,৮২৫

উচ্চতম বেতন সাধারণত নেতৃত্ব এবং ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের পদে পাওয়া যায়, যেমন ম্যানেজিং ডিরেক্টর, CFO, এবং অন্যান্য সিনিয়র ম্যানেজার যারা বার্ষিক S$২৫০,০০০ থেকে S$৭০০,০০০ বা তার বেশি আয় করতে পারেন।

নিম্ন বেতনের চাকরিগুলি সাধারণত সেবাখাত ও শ্রমশক্তি ভিত্তিক, যেমন খুচরা সহকারী, পরিষ্কারকর্মী, রান্নাঘরের সহকারী, ইত্যাদি। এই চাকরিগুলির বার্ষিক বেতন প্রায় S$২০,০০০ থেকে S$৩০,০০০ হতে পারে।

চাকরির বাজারে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বেতনের পরিসরও পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, একজন নতুন স্নাতক বার্ষিক প্রায় S$৩৪,৫৭১ আয় করতে পারেন, কিন্তু ২০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন কর্মী বার্ষিক প্রায় S$১২১,৫২৮ পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট

বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য বেশ কয়েকটি অনুমোদিত এজেন্ট রয়েছে। এখানে কিছু প্রধান এজেন্টের তথ্য দেওয়া হলো:

  1. Valencia Air Travels & Tours Limited
    যোগাযোগ: +88 02 223382931, +88 01712 599700
    ইমেইল: valencia.visa@gmail.com
    সাইট: Valencia Air Travels & Tours Ltd
  2. Obokash Travel
    যোগাযোগ: +88 01996-319999, +880-9648-700700
    ইমেইল: visa@obokash.com
    সাইট: Obokash Travel
  3. Union Tours & Travels Ltd
    যোগাযোগ: +8802 222285771-2, 222263454 Ext 510 509
    মোবাইল: 01713998232, 01755643949, 01700705446, 01819280605
    ইমেইল: sinvisa@uniontourstravels.com
    সাইট: Union Tours & Travels Ltd
  4. Trips N Tours Limited
    যোগাযোগ: +88 02-988 0404
    ইমেইল: singcon_dha@mfa.sg
    সাইট: Trips N Tours Limited
  5. Talon Corporation Ltd
    যোগাযোগ: +88 02488 11861, +88 01909112557, +88 01909112567
    ইমেইল: [email protected]
    সাইট: Talon Corporation Ltd

এই এজেন্টগুলো আপনাকে সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিংয়ে সাহায্য করতে পারে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ফি এবং প্রসেসিং সময় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারে। আপনি এদের সাথে যোগাযোগ করে সঠিক নির্দেশনা পেতে পারেন।

সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা

সিঙ্গাপুর ভিসার ফি ভিসার ধরণ ও আবেদনের স্থান অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণত সিঙ্গাপুরের ভিসার জন্য কয়েকটি ধরণের ফি নির্ধারিত হয়, যেমন:

১. পর্যটক ভিসা (Tourist Visa)

পর্যটক ভিসার জন্য সাধারণত ৩০-৫০ মার্কিন ডলার (USD) ফি লাগতে পারে। তবে বিভিন্ন দেশ থেকে আবেদন করলে ফি কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।

২. কাজের ভিসা (Employment Visa)

  • এমপ্লয়মেন্ট পাস (Employment Pass): ৭০ মার্কিন ডলার (USD) আবেদন ফি এবং ১৫০ মার্কিন ডলার (USD) ইস্যু ফি।
  • এস পাস (S Pass): ৭০ মার্কিন ডলার (USD) আবেদন ফি এবং ১০০ মার্কিন ডলার (USD) ইস্যু ফি।

৩. স্টুডেন্ট ভিসা (Student Visa)

স্টুডেন্ট পাসের জন্য আবেদন ফি সাধারণত ৩০ মার্কিন ডলার (USD) এবং ইস্যু ফি ৬০ মার্কিন ডলার (USD)।

৪. ট্রানজিট ভিসা (Transit Visa)

সাধারণত ট্রানজিট ভিসার জন্য কোন ফি লাগে না, তবে নির্দিষ্ট কিছু শর্তাবলী পূরণ করতে হয়।

এই ফি-এর পরিমাণ সময় এবং ভিসার ধরণ অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। তাই ভিসা আবেদন করার আগে সিঙ্গাপুরের অভিবাসন এবং চেকপয়েন্ট কর্তৃপক্ষের (ICA) অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা স্থানীয় কনস্যুলেট অফিস থেকে সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ করা উচিত।

সিঙ্গাপুর কিসের জন্য বিখ্যাত

সিঙ্গাপুর বিভিন্ন কারণে বিখ্যাত। এখানে সিঙ্গাপুরের কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো:

১. অর্থনৈতিক শক্তি

সিঙ্গাপুর বিশ্বব্যাপী একটি অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত। এখানে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম বন্দর ও একটি শক্তিশালী আর্থিক খাত রয়েছে।

২. পরিচ্ছন্নতা ও সুশৃঙ্খলতা

শহরের পরিচ্ছন্নতা ও সুশৃঙ্খলতার জন্য সিঙ্গাপুর বিখ্যাত। এখানে অনেক কঠোর আইন রয়েছে যা শহরের সুশৃঙ্খলতা বজায় রাখতে সহায়ক।

৩. চমৎকার স্থাপত্য

সিঙ্গাপুরে আধুনিক স্থাপত্যের মিশ্রণে বেশ কয়েকটি আইকনিক ভবন রয়েছে, যেমন মারিনা বে স্যান্ডস, গার্ডেনস বাই দ্য বে, এবং সুপারট্রি গ্রোভ।

৪. সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য

সিঙ্গাপুরে বহু সাংস্কৃতিক মিশ্রণ রয়েছে, যেমন চাইনিজ, মালয়, ইন্ডিয়ান, এবং ইউরোপিয়ান সংস্কৃতি। এই বৈচিত্র্য সিঙ্গাপুরের খাবার, উৎসব এবং জীবনযাত্রায় স্পষ্টভাবে দেখা যায়।

৫. পর্যটন আকর্ষণ

সিঙ্গাপুরে অনেক জনপ্রিয় পর্যটন স্থান রয়েছে, যেমন সেন্টোসা দ্বীপ, ইউনিভার্সাল স্টুডিওস সিঙ্গাপুর, এবং সিঙ্গাপুর জুওলজিকাল গার্ডেন।

৬. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা

উচ্চমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং স্বাস্থ্যসেবার জন্য সিঙ্গাপুর বিখ্যাত। এখানে অনেক আন্তর্জাতিক মানের স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

৭. প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন

সিঙ্গাপুর প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে অগ্রগামী। এখানে অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং উদ্ভাবনী প্রকল্প রয়েছে।

৮. সবুজায়ন

সিঙ্গাপুরকে “গার্ডেন সিটি” বলা হয় কারণ এখানে অনেক পার্ক এবং সবুজ স্থান রয়েছে। শহরের চারপাশে প্রচুর বৃক্ষরোপণ ও সবুজায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

এই বৈশিষ্ট্যগুলো সিঙ্গাপুরকে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য এবং বসবাসের জন্য একটি চমৎকার জায়গা করে তুলেছে।

সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা কত

২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা প্রায় ৫.৬৪ মিলিয়ন বা ৫৬,৪০০,০০০ জন। এই সংখ্যা সময়ের সাথে সাথে সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে। সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যার মধ্যে নাগরিক, স্থায়ী বাসিন্দা এবং অস্থায়ী বাসিন্দা সবাই অন্তর্ভুক্ত। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এবং জনসংখ্যার গঠন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সিঙ্গাপুরের পরিসংখ্যান বিভাগ বা সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে।

সিঙ্গাপুর শ্রমিক নিয়োগ

সিঙ্গাপুরে শ্রমিক নিয়োগ একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া এবং এটি বিভিন্ন ধরণের শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন প্রকার ভিসা ও পাসের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। নিচে সিঙ্গাপুরে শ্রমিক নিয়োগের প্রধান প্রক্রিয়া ও ধাপগুলো তুলে ধরা হলো:

১. শ্রমিকদের ধরণ ও প্রয়োজনীয়তা

কর্মসংস্থান পাস (Employment Pass):

  • উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন পেশাদারদের জন্য
  • প্রার্থীর মাসিক বেতন কমপক্ষে SGD ৪,৫০০ হতে হবে
  • প্রার্থীর প্রাসঙ্গিক যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে

এস পাস (S Pass):

  • মধ্যম দক্ষতাসম্পন্ন শ্রমিকদের জন্য
  • প্রার্থীর মাসিক বেতন কমপক্ষে SGD ২,৩০০ হতে হবে
  • প্রার্থীর প্রাসঙ্গিক যোগ্যতা থাকতে হবে, যেমন ডিপ্লোমা বা বিশেষ প্রশিক্ষণ

ওয়ার্ক পারমিট (Work Permit):

  • নিম্ন দক্ষতাসম্পন্ন শ্রমিকদের জন্য
  • বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্র, যেমন নির্মাণ, সমুদ্র, ম্যানুফ্যাকচারিং, এবং পরিষেবা খাতে প্রয়োজন হয়

২. নিয়োগ প্রক্রিয়া

কর্মসংস্থান বিজ্ঞাপন:

  • উপযুক্ত প্রার্থী খুঁজতে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিজ্ঞাপন দিতে হবে
  • সিঙ্গাপুরের জাতীয় চাকরির পোর্টাল MyCareersFuture.sg তে বিজ্ঞাপন দেয়া বাধ্যতামূলক

আবেদন জমা:

  • কর্মসংস্থান পাস ও এস পাসের জন্য, নিয়োগকর্তাকে সিঙ্গাপুরের ম্যানপাওয়ার মন্ত্রণালয়ে (MOM) আবেদন করতে হবে
  • প্রার্থীর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে, যেমন পাসপোর্ট, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, এবং কর্মসংস্থানের প্রস্তাবপত্র

আবেদনের মূল্যায়ন:

  • ম্যানপাওয়ার মন্ত্রণালয় আবেদন মূল্যায়ন করে এবং উপযুক্ত হলে অনুমোদন দেয়

পাস ইস্যু:

  • আবেদন অনুমোদিত হলে, প্রার্থীকে সিঙ্গাপুরে আগমনের পর পাস ইস্যু করা হয়
  • সাধারণত এটি একটি ই-পাস হিসাবে প্রদান করা হয়

৩. অন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

স্বাস্থ্য পরীক্ষা:

  • ওয়ার্ক পারমিট এবং এস পাসধারী শ্রমিকদের সিঙ্গাপুরে প্রবেশের পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হয়

বীমা:

  • ওয়ার্ক পারমিট শ্রমিকদের জন্য নিয়োগকর্তাকে মেডিক্যাল বীমা প্রদান করতে হয়

বাসস্থান:

  • ওয়ার্ক পারমিট শ্রমিকদের জন্য নিয়োগকর্তাকে উপযুক্ত বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হয়

নিয়ম ও বিধি:

  • সিঙ্গাপুরে শ্রমিক নিয়োগের সময় সকল নিয়ম ও বিধি মেনে চলতে হয়

সিঙ্গাপুরে শ্রমিক নিয়োগ একটি প্রক্রিয়াজাত পদ্ধতির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়, যা কর্মসংস্থান এবং নিয়োগের বিভিন্ন ধাপের সাথে সম্পর্কিত। নিয়োগকর্তাদের উচিত ম্যানপাওয়ার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিকা মেনে চলা এবং প্রয়োজনীয় সকল নথি ও প্রমাণাদি সঠিকভাবে প্রস্তুত করা।

সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার গাজীপুর

গাজীপুরের সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার (STC) বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। এটি সিঙ্গাপুর সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং দক্ষ শ্রমিক প্রশিক্ষণে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। নিচে এই কেন্দ্রটির কিছু বৈশিষ্ট্য ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো:

সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টারের বৈশিষ্ট্য

  1. উচ্চমানের প্রশিক্ষণ:
    • বিভিন্ন পেশার জন্য উচ্চমানের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়, বিশেষ করে নির্মাণ, ম্যানুফ্যাকচারিং, এবং সেবা খাতে।
    • প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আন্তর্জাতিক মানের ভিত্তিতে তৈরি এবং আধুনিক প্রযুক্তি ও পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।
  2. বিশ্বমানের সুবিধাসমূহ:
    • প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সুবিধাসমূহ দিয়ে সজ্জিত।
    • শ্রেণীকক্ষ, ল্যাবরেটরি, এবং প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিংয়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।
  3. প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম:
    • বিভিন্ন ট্রেডে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ।
    • পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ।
    • সফট স্কিল উন্নয়ন এবং ভাষা প্রশিক্ষণ।
  4. প্রশিক্ষকদের মান:
    • সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টারের প্রশিক্ষকগণ উচ্চ মানের এবং যথাযথ যোগ্যতা সম্পন্ন।
    • প্রশিক্ষকগণ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতে দক্ষ।

প্রশিক্ষণ কার্যক্রম

নির্মাণ প্রশিক্ষণ:

  • সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল, প্লাম্বিং, এবং অন্যান্য নির্মাণ সংক্রান্ত দক্ষতা উন্নয়ন।
  • আধুনিক নির্মাণ প্রযুক্তি ও সরঞ্জামের ব্যবহার।

ম্যানুফ্যাকচারিং প্রশিক্ষণ:

  • মেশিন অপারেশন, কন্ট্রোল সিস্টেম, এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া।
  • ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ এবং আধুনিক উৎপাদন কৌশল।

সেবা খাত প্রশিক্ষণ:

  • হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, কাস্টমার সার্ভিস, এবং রিটেইল ম্যানেজমেন্ট।
  • কম্পিউটার এবং আইটি দক্ষতা উন্নয়ন।

পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা:

  • কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ।
  • ইমারজেন্সি রেসপন্স এবং ফায়ার সেফটি।

সফট স্কিল উন্নয়ন:

  • যোগাযোগ দক্ষতা, নেতৃত্ব, এবং দলগত কাজের দক্ষতা উন্নয়ন।
  • ইংরেজি ভাষা ও অন্যান্য ভাষা প্রশিক্ষণ।

সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টারের লক্ষ্য

গাজীপুরের সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টারের লক্ষ্য হল বাংলাদেশের শ্রমিকদের আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাদের দক্ষতা উন্নয়ন করা, যাতে তারা দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন পেশায় সফলভাবে কাজ করতে পারে। এই কেন্দ্রটি বাংলাদেশের কর্মসংস্থান খাতের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।

সিঙ্গাপুর স্কেল

“সিঙ্গাপুর স্কেল” একটি প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা মূল্যায়ন পদ্ধতি, যা প্রধানত নির্মাণ খাতে প্রয়োগ করা হয়। এটি সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া, যা শ্রমিকদের দক্ষতা ও জ্ঞান পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই স্কেলটি বিভিন্ন ট্রেড ও পেশার জন্য আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ এবং মূল্যায়ন নিশ্চিত করে।

সিঙ্গাপুর স্কেলের মূল বৈশিষ্ট্য

  1. প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন মান:
    • আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন পদ্ধতি।
    • উচ্চমানের দক্ষতা ও জ্ঞান মূল্যায়ন।
  2. বিভিন্ন ট্রেডে প্রযোজ্য:
    • নির্মাণ, ম্যানুফ্যাকচারিং, এবং সেবা খাতের বিভিন্ন ট্রেডের জন্য প্রযোজ্য।
    • কারিগরি এবং পেশাগত প্রশিক্ষণ।
  3. স্ট্যান্ডার্ডাইজড মডিউল:
    • প্রশিক্ষণ মডিউলগুলি স্ট্যান্ডার্ডাইজড এবং নির্দিষ্ট মান অনুযায়ী তৈরি।
    • প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও জ্ঞান উন্নয়নে সহায়ক।

সিঙ্গাপুর স্কেলের প্রধান উপাদান

  1. ট্রেনিং মডিউল:
    • প্রত্যেক ট্রেডের জন্য নির্দিষ্ট ট্রেনিং মডিউল থাকে।
    • থিওরি এবং প্র্যাকটিক্যাল প্রশিক্ষণের সমন্বয়।
  2. মূল্যায়ন ও সার্টিফিকেশন:
    • প্রশিক্ষণের পর দক্ষতা মূল্যায়ন করা হয়।
    • সফল প্রশিক্ষণার্থীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
  3. কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন:
    • শ্রমিকদের কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষ জোর।
    • নতুন প্রযুক্তি ও পদ্ধতি শেখানোর উপর গুরুত্ব।

সিঙ্গাপুর স্কেলের সুবিধা

  1. উচ্চমানের দক্ষতা:
    • প্রশিক্ষণার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের দক্ষতা অর্জন করে।
    • কর্মসংস্থানে সুযোগ বৃদ্ধিতে সহায়ক।
  2. আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি:
    • সার্টিফিকেট আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
    • বিদেশে কাজের সুযোগ বৃদ্ধিতে সহায়ক।
  3. বাজার চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ:
    • বাজারের চাহিদা ও পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম।
    • বাস্তবসম্মত ও প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়ন।

বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর স্কেলের প্রয়োগ

গাজীপুরের সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার (STC) সিঙ্গাপুর স্কেল অনুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রদান করে। এটি বাংলাদেশী শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে এবং বিদেশে কাজের জন্য প্রস্তুত করে।

এই স্কেলের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত শ্রমিকরা নির্মাণ খাতে উচ্চমানের দক্ষতা অর্জন করে, যা সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত দেশের কাজের মানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

সিঙ্গাপুরের ইতিহাস

সিঙ্গাপুরের ইতিহাস দীর্ঘ ও বৈচিত্র্যময়। এই ছোট দ্বীপটি আজ বিশ্বের অন্যতম সফল ও উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিত। সিঙ্গাপুরের ইতিহাসের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনাপ্রবাহ নিচে দেওয়া হলো:

প্রাচীন যুগ ও ঔপনিবেশিক শাসন

প্রাচীন সিঙ্গাপুর (তামাসেক)

  • ১৪ শতক: সিঙ্গাপুর তখন তামাসেক নামে পরিচিত ছিল এবং এটি একটি ছোট মৎস্য শিকারি ও বন্দর নগরী ছিল।
  • রাজা সঙ্গ নিলা উতামা: পালম্বাংয়ের (বর্তমান ইন্দোনেশিয়া) শ্রীবিজয়া সাম্রাজ্যের রাজা সঙ্গ নিলা উতামা সিংহ দেখার পর দ্বীপটির নামকরণ করেন সিঙ্গাপুর, যার অর্থ সিংহপুরী।

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন

  • ১৮১৯: ব্রিটিশ রাফেলস স্টামফোর্ড সিঙ্গাপুরে ব্রিটিশ বন্দর স্থাপন করেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হয়ে ওঠে।
  • ১৮২৪: সিঙ্গাপুর পুরোপুরি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে।
  • ১৮২৬: পেনাং এবং মালাক্কার সাথে সিঙ্গাপুরকে একত্রিত করে স্ট্রেইটস সেটেলমেন্টস গঠন করা হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও জাপানি দখল

  • ১৯৪২-১৯৪৫: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সিঙ্গাপুর জাপানি বাহিনী দ্বারা দখল করা হয়। এই সময়টি ছিল সিঙ্গাপুরের ইতিহাসে অত্যন্ত কঠিন সময়।
  • ১৯৪৫: যুদ্ধ শেষে সিঙ্গাপুর আবার ব্রিটিশদের অধীনে ফিরে আসে।

স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতা

মালয়েশিয়ার সাথে একীকরণ

  • ১৯৫৯: সিঙ্গাপুর স্বায়ত্তশাসন লাভ করে এবং লি কুয়ান ইউ প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন।
  • ১৯৬৩: সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার সাথে একীভূত হয়।

স্বাধীনতা অর্জন

  • ১৯৬৫: মতবিরোধ ও সংঘর্ষের কারণে সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া থেকে পৃথক হয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে।

স্বাধীনতা পরবর্তী যুগ

  • ১৯৬৫-১৯৯০: লি কুয়ান ইউর নেতৃত্বে সিঙ্গাপুর দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতি করে। তিনি সিঙ্গাপুরকে একটি আধুনিক, উন্নত এবং স্বচ্ছন্দ দেশে পরিণত করেন।
  • ১৯৯০-এর পর: গোহ চোক টং এবং পরবর্তীতে লি সিয়েন লুং প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং সিঙ্গাপুরকে আরও সমৃদ্ধশালী করে তোলেন।

বর্তমান সিঙ্গাপুর

সিঙ্গাপুর বর্তমানে একটি প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও প্রযুক্তির কেন্দ্র এবং পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। এটি উচ্চমানের জীবনযাপন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অত্যন্ত সুশৃঙ্খল সমাজের জন্য পরিচিত।

এই ইতিহাসের ধারাবাহিকতা সিঙ্গাপুরকে আজকের অবস্থানে এনেছে, যেখানে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

সিঙ্গাপুর এখন কয়টা বাজে

সিঙ্গাপুর এর সময়ের মান বাংলাদেশের সময়ের (UTC) থেকে ৮ ঘণ্টা এগিয়ে থাকে এবং এখানে ডে লাইট সেভিং টাইম (DST) প্রয়োগ করা হয় না, ফলে সারা বছর সময় একই থাকে।

সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিং

সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিং একটি সুশৃঙ্খল ও পরিষ্কার প্রক্রিয়া। এখানে বিভিন্ন ধরণের ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি এবং প্রয়োজনীয় ধাপগুলি উল্লেখ করা হলো:

ভিসার ধরণ ও প্রয়োজনীয়তা

সিঙ্গাপুরে ভ্রমণ, কাজ, পড়াশোনা, অথবা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য বিভিন্ন ধরণের ভিসা প্রয়োজন হতে পারে। প্রধান ধরণের ভিসাগুলি হল:

  1. পর্যটক ভিসা (Tourist Visa)
  2. কাজের ভিসা (Employment Visa)
  3. ব্যবসায়িক ভিসা (Business Visa)
  4. স্টুডেন্ট ভিসা (Student Visa)
  5. পারিবারিক ভিসা (Family Visa)

ভিসা প্রসেসিং ধাপ

১. পর্যটক ভিসা (Tourist Visa)

আবেদন প্রক্রিয়া:

  1. অনলাইনে আবেদন:
    • সিঙ্গাপুরের অভিবাসন ও চেকপয়েন্ট কর্তৃপক্ষের (ICA) ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
    • প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট:

  • বৈধ পাসপোর্ট (মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে)
  • সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • ফ্লাইটের বুকিং কনফার্মেশন
  • হোটেল রিজার্ভেশন বা ঠিকানার প্রমাণ
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ

প্রসেসিং সময়:

  • সাধারণত ৩-৫ কার্যদিবস

ভিসা ফি:

  • প্রায় ৩০-৫০ মার্কিন ডলার (USD)

২. কাজের ভিসা (Employment Visa)

আবেদন প্রক্রিয়া:

  1. নিয়োগকর্তার মাধ্যমে আবেদন:
    • নিয়োগকর্তাকে সিঙ্গাপুরের ম্যানপাওয়ার মন্ত্রণালয় (MOM) এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
    • আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট:

  • বৈধ পাসপোর্ট
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
  • কর্মসংস্থানের প্রস্তাবপত্র
  • অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট (যেমন, কাজের অভিজ্ঞতার সনদ)

প্রসেসিং সময়:

  • সাধারণত ৭-১৫ কার্যদিবস

ভিসা ফি:

  • কর্মসংস্থান পাস (Employment Pass) এর জন্য: ৭০ মার্কিন ডলার (USD) আবেদন ফি এবং ১৫০ মার্কিন ডলার (USD) ইস্যু ফি
  • এস পাস (S Pass) এর জন্য: ৭০ মার্কিন ডলার (USD) আবেদন ফি এবং ১০০ মার্কিন ডলার (USD) ইস্যু ফি

৩. স্টুডেন্ট ভিসা (Student Visa)

আবেদন প্রক্রিয়া:

  1. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আবেদন:
    • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি নিশ্চিত হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্টুডেন্ট পাসের জন্য আবেদন করবে।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট:

  • বৈধ পাসপোর্ট
  • ভর্তি নিশ্চিতকরণের প্রমাণ
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ

প্রসেসিং সময়:

  • সাধারণত ২-৪ সপ্তাহ

ভিসা ফি:

  • ৩০ মার্কিন ডলার (USD) আবেদন ফি এবং ৬০ মার্কিন ডলার (USD) ইস্যু ফি

সার্বিক প্রসেসিং পদ্ধতি

অনলাইন আবেদন:

  • প্রায় সব ধরণের ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
  • ICA এবং MOM এর ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।

ডকুমেন্ট যাচাই:

  • সমস্ত ডকুমেন্ট যাচাই ও স্ক্রিনিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাচাই করা হবে।

ফি প্রদান:

  • আবেদন প্রক্রিয়ার সময় অনলাইনে ভিসা ফি প্রদান করতে হবে।

ফলাফল ও ভিসা ইস্যু:

  • ভিসার ফলাফল আবেদনকারীর ইমেইলে পাঠানো হবে।
  • ভিসা ইস্যু হলে ইমেইলে ই-ভিসা কপি পাঠানো হবে, যা প্রিন্ট করে সাথে নিয়ে যেতে হবে।

সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিং একটি সুশৃঙ্খল প্রক্রিয়া এবং সব ধাপ সঠিকভাবে অনুসরণ করলে সহজেই ভিসা পাওয়া সম্ভব।

সিঙ্গাপুর সম্পর্কে প্রশ্নঃ

সিঙ্গাপুর ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?

সিঙ্গাপুর ১ টাকা বাংলাদেশের ৮৭.১১ টাকা।

সিঙ্গাপুর ১০০ টাকা বাংলাদেশের কত?

সিঙ্গাপুর ১০০ টাকা বাংলাদেশের ৮৭১১ টাকা।

সিঙ্গাপুরের রাজধানীর নাম কি?

সিঙ্গাপুরের রাজধানীর নাম সিঙ্গাপুর সিটি। এটি একইসঙ্গে দেশটির প্রধান শহর এবং প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

সিঙ্গাপুরের আয়তন কত?

সিঙ্গাপুরের মোট আয়তন ৭২৭.৬ বর্গকিলোমিটার (প্রায় ২৮১.৩ বর্গমাইল)।

সিঙ্গাপুরে সর্বনিম্ন বেতন কত?

সিঙ্গাপুরে সর্বনিম্ন বেতন ১২০০ থেকে ১৪০০ সিঙ্গাপুর ডলার (SGD) প্রতি মাসে হতে পারে।

সিঙ্গাপুর টাকার নাম কি?

সিঙ্গাপুর টাকার নাম সিঙ্গাপুর ডলার, সংক্ষেপে SGD।

সিঙ্গাপুরের মুদ্রার নাম কি?

সিঙ্গাপুরের মুদ্রার নাম সিঙ্গাপুর ডলার, সংক্ষেপে SGD।

সিঙ্গাপুর যেতে কত বছর বয়স লাগে?

সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করতে নির্দিষ্ট কোনো বয়সসীমা নেই। যেকোনো বয়সের মানুষ সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করতে পারে, তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের (১৮ বছরের কম বয়সী) ক্ষেত্রে সাধারণত তাদের পিতামাতা বা অভিভাবকের সঙ্গে ভ্রমণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ভ্রমণের জন্য একটি বৈধ পাসপোর্ট ও প্রয়োজনীয় ভিসা থাকা আবশ্যক।

সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী কে?

সিঙ্গাপুরের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বুধবার শপথ নিয়েছেন লরেন্স ওং। এর মাধ্যমে ২০ বছরের মধ্যে প্রথমবার নতুন প্রধানমন্ত্রী পেলো সিঙ্গাপুর।

আজকের সিঙ্গাপুর ডলার রেট বাংলাদেশ?

আজকের সিঙ্গাপুর ডলার রেট বাংলাদেশ ৮৭.১১ টাকা।

ইসলামী ব্যাংক সিঙ্গাপুর ডলার রেট টুডে?

ইসলামী ব্যাংক সিঙ্গাপুর ডলার রেট টুডে ৮৭.১১ টাকা।

অগ্রণী ব্যাংক সিঙ্গাপুর ডলার রেট?

অগ্রণী ব্যাংক সিঙ্গাপুর ডলার রেট ৮৭.১১ টাকা।

প্রাইম ব্যাংক সিঙ্গাপুর ডলার রেট?

প্রাইম ব্যাংক সিঙ্গাপুর ডলার রেট ৮৭.১১ টাকা।

আমাদের শেষকথাঃ

আশাকরি, আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে খুবই সহজে সিঙ্গাপুর টাকার রেট কত – সিঙ্গাপুর ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনার যদি এই বিষয়ে আরও প্রশ্ন থাকে, তাহলে আমাকে জিজ্ঞাসা করতে দ্বিধাবোধ করবেন না। আজকের লেখাটি ভালো লাগলে, আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।।

Leave a Comment