আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা , টেক যুক্তি ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আজ আমি আপনাদের জানাবো পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম – অনলাইন পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
পাসপোর্ট হলো একটি আইসিএও সঙ্গতিপূর্ণ, মেশিন রিডেবল এবং বায়োমেট্রিক ই-পাসপোর্ট যা পাসপোর্টধারী কর্তৃক বিদেশে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে জারি করা হয়। বাংলাদেশ প্রথম ই-পাসপোর্ট চালু করেছে, এবং এখন যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক ঘরে বসে নিজেই নিজের ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন।
পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম বা পদ্ধতি বেশ কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়। এটি সাধারণত বিমানবন্দর, স্থলবন্দর, এবং নৌবন্দরগুলোতে অনুসরণ করা হয়। এখানে প্রধান ধাপগুলো উল্লেখ করা হলো:
- পাসপোর্ট প্রস্তুতি:
- পাসপোর্ট এবং ভিসা (যদি প্রয়োজন হয়) নিশ্চিত করুন।
- যাত্রার টিকিট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সাথে রাখুন।
- প্রথম চেকপয়েন্ট:
- বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় নিরাপত্তা চেক করা হয়। আপনার পাসপোর্ট, টিকিট, এবং অন্যান্য ডকুমেন্টস দেখাতে হতে পারে।
- চেক-ইন:
- এয়ারলাইনের কাউন্টারে চেক-ইন করুন। এখানে আপনার পাসপোর্ট এবং টিকিট প্রদর্শন করতে হবে।
- ইমিগ্রেশন চেক:
- ইমিগ্রেশন অফিসার আপনার পাসপোর্ট এবং ভিসা চেক করবে।
- তারা আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য, বাসস্থান, এবং অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারে।
- পাসপোর্টে স্ট্যাম্প দেওয়া হবে, যা নিশ্চিত করে যে আপনি দেশে প্রবেশ বা প্রস্থান করছেন।
- নিরাপত্তা চেক:
- আপনার পাসপোর্ট এবং বোর্ডিং পাস আবার চেক করা হবে।
- আপনাকে নিরাপত্তা স্ক্রিনিং প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
- বোর্ডিং:
- বোর্ডিং গেটে আপনার পাসপোর্ট এবং বোর্ডিং পাস চেক করা হবে।
- গন্তব্য দেশে পাসপোর্ট চেক:
- গন্তব্য দেশে পৌঁছানোর পর, আবার ইমিগ্রেশন চেক করা হবে।
- পাসপোর্ট এবং ভিসা চেক করা হবে এবং প্রয়োজনীয় স্ট্যাম্প দেওয়া হবে।
এই ধাপগুলো পাসপোর্ট চেক করার সময় সাধারণত অনুসরণ করা হয়। নির্দিষ্ট দেশের নিয়ম এবং প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী কিছু ভিন্নতা থাকতে পারে।
অনলাইন পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
অনলাইন পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম বা পদ্ধতি প্রধানত নির্দিষ্ট দেশের পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। সাধারণত, পাসপোর্ট চেক করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট তথ্য প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশে অনলাইন পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম নিচে উল্লেখ করা হলো:
বাংলাদেশে অনলাইন পাসপোর্ট চেক করার ধাপ:
- অনলাইনে প্রবেশ করুন:
- পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান: www.passport.gov.bd
- চেক করার লিংক খুঁজুন:
- ওয়েবসাইটে বিভিন্ন সেবার লিংক থাকবে। সাধারণত, ‘পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক’ বা ‘অ্যাপ্লিকেশন স্ট্যাটাস’ নামে একটি লিংক থাকবে। সেই লিংকে ক্লিক করুন।
- প্রয়োজনীয় তথ্য দিন:
- পাসপোর্ট চেক করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিন। সাধারণত, আপনাকে আপনার পাসপোর্ট নম্বর, জন্ম তারিখ, এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হতে পারে।
- ভেরিফিকেশন:
- কখনও কখনও একটি ক্যাপচা বা অন্য কোনো ভেরিফিকেশন পদ্ধতি সম্পন্ন করতে হতে পারে।
- স্ট্যাটাস দেখুন:
- সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করার পর, আপনার পাসপোর্টের স্ট্যাটাস দেখানো হবে। স্ট্যাটাসে উল্লেখ থাকতে পারে আপনার পাসপোর্ট তৈরি হচ্ছে, বিতরণের জন্য প্রস্তুত, অথবা বিতরণ হয়ে গেছে ইত্যাদি।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- প্রক্রিয়াকাল: অনলাইন স্ট্যাটাস চেক করার পর যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয় বা যদি স্ট্যাটাসে কোনো আপডেট না থাকে, তাহলে আপনার নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করুন।
- নিরাপত্তা: আপনার ব্যক্তিগত তথ্য অন্য কারো সাথে শেয়ার করবেন না এবং শুধুমাত্র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন।
এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি অনলাইনেই আপনার পাসপোর্টের বর্তমান স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক
পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার জন্য আপনাকে আপনার দেশের পাসপোর্ট অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা নির্দিষ্ট পোর্টালের সাহায্য নিতে হবে। বাংলাদেশে পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
বাংলাদেশে পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার ধাপ:
- ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন:
- বাংলাদেশ পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান: www.passport.gov.bd
- পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক লিংক খুঁজুন:
- ওয়েবসাইটের প্রধান পৃষ্ঠায় ‘পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক’ বা ‘অ্যাপ্লিকেশন স্ট্যাটাস’ নামের একটি লিংক থাকবে। সেই লিংকে ক্লিক করুন।
- প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন:
- একটি ফর্ম আসবে যেখানে আপনাকে আপনার পাসপোর্ট নম্বর এবং জন্ম তারিখ প্রদান করতে হবে।
- কোনো কোনো ক্ষেত্রে আপনার অ্যাপ্লিকেশন আইডি বা অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্যও প্রদান করতে হতে পারে।
- ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া:
- কখনও কখনও একটি ক্যাপচা কোড পূরণ করতে হতে পারে, যা ভেরিফিকেশনের জন্য ব্যবহার হয়।
- স্ট্যাটাস দেখুন:
- সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পর, ‘সাবমিট’ বা ‘চেক স্ট্যাটাস’ বোতামে ক্লিক করুন।
- আপনার পাসপোর্টের বর্তমান স্ট্যাটাস স্ক্রিনে দেখানো হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য:
- ওয়েবসাইটের লিংক: পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর (http://www.passport.gov.bd/)
- সার্ভিস ডেস্ক যোগাযোগ: যদি আপনি অনলাইনে চেক করতে না পারেন বা কোনো সমস্যা হয়, তবে পাসপোর্ট অফিসের সার্ভিস ডেস্কের সাথে যোগাযোগ করুন।
সুরক্ষা:
- নিশ্চিত করুন যে আপনি শুধুমাত্র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করছেন এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখুন।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে পাসপোর্টের স্ট্যাটাস অনলাইনে চেক করতে পারবেন
নতুন পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
নতুন পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম বিভিন্ন দেশে ভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণভাবে প্রক্রিয়াটি একই রকম থাকে। বাংলাদেশে নতুন পাসপোর্ট চেক করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন:
বাংলাদেশে নতুন পাসপোর্ট চেক করার ধাপ:
- ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন:
- বাংলাদেশ পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান: www.passport.gov.bd
- পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক লিংক খুঁজুন:
- ওয়েবসাইটের প্রধান পৃষ্ঠায় ‘পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক’ বা ‘অ্যাপ্লিকেশন স্ট্যাটাস’ নামে একটি লিংক থাকবে। সেই লিংকে ক্লিক করুন।
- প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন:
- একটি ফর্ম আসবে যেখানে আপনাকে আপনার পাসপোর্ট আবেদন নম্বর বা পাসপোর্ট নম্বর এবং জন্ম তারিখ প্রদান করতে হবে।
- কোনো কোনো ক্ষেত্রে আপনার এনআইডি নম্বর বা অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্যও প্রদান করতে হতে পারে।
- ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া:
- কখনও কখনও একটি ক্যাপচা কোড পূরণ করতে হতে পারে, যা ভেরিফিকেশনের জন্য ব্যবহার হয়।
- স্ট্যাটাস দেখুন:
- সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পর, ‘সাবমিট’ বা ‘চেক স্ট্যাটাস’ বোতামে ক্লিক করুন।
- আপনার পাসপোর্টের বর্তমান স্ট্যাটাস স্ক্রিনে দেখানো হবে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- প্রক্রিয়াকাল: অনলাইন স্ট্যাটাস চেক করার পর যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয় বা যদি স্ট্যাটাসে কোনো আপডেট না থাকে, তাহলে আপনার নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করুন।
- নিরাপত্তা: আপনার ব্যক্তিগত তথ্য অন্য কারো সাথে শেয়ার করবেন না এবং শুধুমাত্র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন।
সুরক্ষা:
- নিশ্চিত করুন যে আপনি শুধুমাত্র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করছেন এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখুন।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি নতুন পাসপোর্টের স্ট্যাটাস অনলাইনে চেক করতে পারবেন।
ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
ই পাসপোর্ট (e-Passport) চেক করার নিয়ম সাধারণত অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশে ই পাসপোর্ট চেক করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
বাংলাদেশে ই পাসপোর্ট চেক করার ধাপ:
- ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন:
- বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান: www.passport.gov.bd
- পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক লিংক খুঁজুন:
- ওয়েবসাইটের প্রধান পৃষ্ঠায় ‘পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক’ বা ‘অ্যাপ্লিকেশন স্ট্যাটাস’ নামে একটি লিংক থাকবে। সেই লিংকে ক্লিক করুন।
- প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন:
- একটি ফর্ম আসবে যেখানে আপনাকে আপনার আবেদন নম্বর বা পাসপোর্ট নম্বর এবং জন্ম তারিখ প্রদান করতে হবে।
- কোনো কোনো ক্ষেত্রে আপনার এনআইডি নম্বর বা অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্যও প্রদান করতে হতে পারে।
- ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া:
- কখনও কখনও একটি ক্যাপচা কোড পূরণ করতে হতে পারে, যা ভেরিফিকেশনের জন্য ব্যবহার হয়।
- স্ট্যাটাস দেখুন:
- সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পর, ‘সাবমিট’ বা ‘চেক স্ট্যাটাস’ বোতামে ক্লিক করুন।
- আপনার ই পাসপোর্টের বর্তমান স্ট্যাটাস স্ক্রিনে দেখানো হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য:
- ওয়েবসাইটের লিংক: ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর – www.passport.gov.bd
- সার্ভিস ডেস্ক যোগাযোগ: যদি আপনি অনলাইনে চেক করতে না পারেন বা কোনো সমস্যা হয়, তবে পাসপোর্ট অফিসের সার্ভিস ডেস্কের সাথে যোগাযোগ করুন।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- প্রক্রিয়াকাল: অনলাইন স্ট্যাটাস চেক করার পর যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয় বা যদি স্ট্যাটাসে কোনো আপডেট না থাকে, তাহলে আপনার নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করুন।
- নিরাপত্তা: আপনার ব্যক্তিগত তথ্য অন্য কারো সাথে শেয়ার করবেন না এবং শুধুমাত্র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার ই পাসপোর্টের স্ট্যাটাস অনলাইনে চেক করতে পারবেন।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ঠিকানা বের করা
পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে ব্যক্তির ঠিকানা বের করা সাধারণত সম্ভব নয় এবং এটি আইনের পরিপন্থী। পাসপোর্টের তথ্য অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য সংরক্ষিত থাকে।
তবে, বিশেষ পরিস্থিতিতে বা প্রয়োজনে, যেমন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুরোধে, পাসপোর্টের তথ্য ব্যবহার করে ব্যক্তির ঠিকানা বা অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য বের করা যেতে পারে। এই প্রক্রিয়াটি সাধারণ জনগণের জন্য নয় এবং এটি কেবলমাত্র অনুমোদিত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে করা হয়।
বাংলাদেশে তথ্য বের করার প্রক্রিয়া:
- আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী:
- যদি কোনো জরুরি প্রয়োজন হয়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (পুলিশ, র্যাব ইত্যাদি) আদালতের অনুমতি নিয়ে পাসপোর্ট অফিস থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।
- আদালতের নির্দেশ:
- আদালতের নির্দেশনা প্রাপ্তি সাপেক্ষে, পাসপোর্ট অফিস ব্যক্তির পাসপোর্টের তথ্য আদালতে জমা দিতে পারে।
নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা:
- ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা: ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা ও গোপনীয়তা রক্ষার জন্য বিভিন্ন আইন ও নীতি রয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আইন লঙ্ঘন করে পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য বের করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
- অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও পরিষেবা: নিশ্চিত করুন যে আপনি কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে শুধুমাত্র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা অনুমোদিত পরিষেবার সাহায্য নিচ্ছেন।
এছাড়া, আপনার যদি কোনও বিশেষ প্রশ্ন থাকে বা কোনও সমস্যার সমাধান প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনার দেশের পাসপোর্ট অফিস বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ডকুমেন্টস সংগ্রহ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বাংলাদেশে পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ডকুমেন্টস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. আবেদন ফর্ম পূরণ:
- অনলাইন আবেদন: বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.passport.gov.bd থেকে অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ করুন।
- মুদ্রিত ফর্ম: অনলাইন ফর্ম পূরণ করার পরে, ফর্মটি প্রিন্ট করে নিন।
২. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID): আবেদনকারীর এনআইডির ফটোকপি।
- জন্ম সনদ: যদি এনআইডি না থাকে তবে জন্ম সনদ।
- নাগরিকত্ব সনদ: স্থানীয় পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রাপ্ত নাগরিকত্ব সনদ।
- আবেদনকারীর সাম্প্রতিক রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি: নির্দিষ্ট সংখ্যক ছবি (আবেদন ফর্মে উল্লেখিত)।
- চারিত্রিক সনদপত্র: স্থানীয় পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত চারিত্রিক সনদপত্র।
- পিতামাতার এনআইডি/পাসপোর্ট কপি: বিশেষ করে নবজাতকের ক্ষেত্রে।
- অফিসিয়াল পাসপোর্টের জন্য অফিস আদেশ: যদি আপনি সরকারি কর্মচারী হন।
৩. আবেদন ফি পরিশোধ:
- নির্ধারিত আবেদন ফি প্রদান করুন। এটি ব্যাংক বা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারেন। ফি পরিশোধের রসিদ সংরক্ষণ করুন।
৪. বায়োমেট্রিক ও ছবি তোলা:
- আবেদন ফর্ম এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সহ নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে যান। সেখানে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ছবি তোলা হবে।
৫. সাক্ষাৎকার ও ডকুমেন্ট যাচাই:
- পাসপোর্ট অফিসার আপনার সমস্ত ডকুমেন্ট যাচাই করবেন এবং প্রয়োজন হলে সাক্ষাৎকার নিতে পারেন।
৬. পাসপোর্ট বিতরণ:
- সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এবং পাসপোর্ট তৈরি হলে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনাকে পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে। আপনার মোবাইল নম্বরে একটি এসএমএস প্রাপ্তির মাধ্যমে পাসপোর্ট প্রস্তুতির স্ট্যাটাস জানতে পারবেন।
৭. ফলো-আপ:
- আপনি অনলাইনে পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন www.passport.gov.bd এর মাধ্যমে।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি বাংলাদেশে পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন। আবেদন প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যা হলে, নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিস বা হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক
পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করা সাধারণত সরাসরি সম্ভব নয় কারণ এটি ব্যক্তিগত এবং সংবেদনশীল তথ্য। তবে, কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে যেমন বিদেশে কাজ করতে যাওয়ার প্রক্রিয়ায়, নির্দিষ্ট মেডিকেল চেকআপ রিপোর্ট চেক করার জন্য প্রয়োজন হতে পারে। বাংলাদেশে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে কাজের জন্য মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে।
পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার সাধারণ প্রক্রিয়া:
১. মেডিকেল সেন্টারের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন:
- সংশ্লিষ্ট মেডিকেল সেন্টারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান যেখানে আপনি আপনার মেডিকেল পরীক্ষা করিয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, সৌদি আরব বা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য গামকা (GAMCA) মেডিকেল সেন্টারগুলির ওয়েবসাইট হতে পারে।
২. নির্দিষ্ট সেকশনে যান:
- ওয়েবসাইটে “মেডিকেল রিপোর্ট চেক” বা “চেক স্ট্যাটাস” নামে একটি বিভাগ থাকতে পারে। সেখানে ক্লিক করুন।
৩. প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করুন:
- আপনাকে সাধারণত পাসপোর্ট নম্বর, পরীক্ষার রসিদ নম্বর বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে।
৪. ভেরিফিকেশন কোড বা ক্যাপচা পূরণ করুন:
- কখনও কখনও একটি ক্যাপচা কোড বা ভেরিফিকেশন কোড পূরণ করতে হতে পারে, যা ভেরিফিকেশনের জন্য ব্যবহার হয়।
৫. রিপোর্ট দেখুন:
- সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করার পর, “সাবমিট” বা “চেক স্ট্যাটাস” বোতামে ক্লিক করুন। আপনার মেডিকেল রিপোর্টের স্ট্যাটাস স্ক্রিনে দেখানো হবে।
উদাহরণস্বরূপ GAMCA মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার ধাপ:
১. GAMCA ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন:
- GAMCA ওয়েবসাইট এ যান।
২. মেডিকেল রিপোর্ট চেক লিংক খুঁজুন:
- “Check Candidate Status” বা “Check Medical Report” লিংক খুঁজে বের করুন এবং ক্লিক করুন।
৩. প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন:
- আপনার পাসপোর্ট নম্বর এবং দেশের নাম দিন।
৪. ভেরিফিকেশন কোড পূরণ করুন:
- প্রদত্ত ক্যাপচা কোডটি পূরণ করুন।
৫. রিপোর্ট দেখুন:
- সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করার পর, “Generate” বা “Check Status” বোতামে ক্লিক করুন। আপনার মেডিকেল রিপোর্টের স্ট্যাটাস স্ক্রিনে দেখানো হবে।
নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা:
- নিশ্চিত করুন যে আপনি শুধুমাত্র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করছেন এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখছেন।
- কোনো সমস্যা হলে সরাসরি সংশ্লিষ্ট মেডিকেল সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করুন।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার মেডিকেল রিপোর্ট পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে চেক করতে পারেন
পাসপোর্ট ছবি তোলার নিয়ম
পাসপোর্ট ছবি তোলার নিয়ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ একটি সঠিক ছবি পাসপোর্ট প্রক্রিয়া সহজ করে এবং যাত্রা শুরুতে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হওয়া থেকে রক্ষা করে। নিচে পাসপোর্ট ছবি তোলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম এবং নির্দেশিকা দেয়া হলো:
বাংলাদেশে পাসপোর্ট ছবি তোলার নিয়ম:
- ছবির আকার ও রঙ:
- আকার: ৩৫ মিমি x ৪৫ মিমি (৩.৫ সেমি x ৪.৫ সেমি)
- পটভূমি: সাদা বা হালকা রঙের পটভূমি
- রঙ: রঙিন ছবি (কালো-সাদা ছবি গ্রহণযোগ্য নয়)
- মুখমণ্ডল:
- মুখের অবস্থান: সরাসরি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে ছবি তুলুন।
- এক্সপ্রেশন: সাধারণ এবং স্বাভাবিক এক্সপ্রেশন (কোনো হাসি বা কাঁপুনি নেই)।
- চোখ: খোলা এবং পরিষ্কার (কোনো চশমা বা সানগ্লাস নয়, যদি না চশমা মেডিকেল কারণে প্রয়োজন হয়)।
- মাথা ও চুল: মাথা এবং চুল সম্পূর্ণরূপে দৃশ্যমান রাখতে হবে, মুখমণ্ডলের কোনো অংশ ঢাকা যাবে না।
- হিজাব বা টুপি: ধর্মীয় কারণে হিজাব বা টুপি পরা যেতে পারে, তবে মুখমণ্ডল পুরোপুরি দৃশ্যমান থাকতে হবে।
- পরিচ্ছন্নতা:
- ছবির মান: পরিষ্কার, প্রিন্টের মান উচ্চ হওয়া উচিত।
- কোনো দাগ বা দাগ নেই: ছবিতে কোনো দাগ, স্ক্র্যাচ বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট থাকা উচিত নয়।
- ব্যাকগ্রাউন্ড:
- পটভূমি: সাদা বা হালকা রঙের এবং কোনো ছায়া বা আড়াল থাকা উচিত নয়।
- আলোকসজ্জা: সুষম আলো যাতে মুখে কোনো ছায়া না পড়ে।
- ড্রেস কোড:
- পোশাক: সাধারণ এবং সরল পোশাক, কোনো ফর্মাল বা ইউনিফর্ম পোশাক নয় (অন্য কোনো পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকলে তা অনুসরণ করুন)।
- বয়স ও বাচ্চাদের ছবি:
- শিশুদের ছবি: শিশুদের ছবির জন্য বিশেষ নির্দেশনা অনুসরণ করুন। শিশুর মুখ স্পষ্ট এবং চোখ খোলা থাকতে হবে।
ছবি তোলার উদাহরণ:
- উদাহরণ:
- পাসপোর্ট ছবিতে সাধারণত দেখা যায় এমন প্রয়োজনীয় উদাহরণ চিত্র অনুসরণ করতে পারেন। যেমন, মুখের অবস্থান, এক্সপ্রেশন, পটভূমি ইত্যাদি।
পাসপোর্ট ছবি আপলোড:
- অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফর্মে ছবিটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে (JPEG, PNG) এবং আকারে (সাধারণত ৩০০ কেবি থেকে ১ এমবি) আপলোড করতে হবে।
পাসপোর্ট ছবি তোলার আগে, আপনার দেশের পাসপোর্ট অফিসের নির্দিষ্ট নিয়ম ও নির্দেশিকা চেক করে নিশ্চিত করুন।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি সঠিকভাবে পাসপোর্ট ছবি তুলতে এবং জমা দিতে পারবেন, যা আপনার পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকে সহজ ও নির্ভুল করবে।
পাসপোর্ট সংশোধন ফরম
বাংলাদেশে পাসপোর্ট সংশোধন ফরম (Correction Form) পূরণ করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হবে। পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য সাধারণত দুটি ধরনের সংশোধন প্রয়োজন হতে পারে: তথ্য সংশোধন (যেমন নাম, জন্মতারিখ, ইত্যাদি) এবং পাসপোর্টের ত্রুটি সংশোধন।
পাসপোর্ট সংশোধন ফরম পূরণের ধাপ:
- ফরম সংগ্রহ:
- সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিস থেকে সংশোধন ফরম সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করুন।
- ফরম পূরণ:
- ফরমের সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন।
- সংশোধনের জন্য আপনার বর্তমান পাসপোর্টের সাথে মিল রেখে ফরমের তথ্য প্রদান করুন।
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংযুক্তি:
- সংশোধনীর প্রয়োজন অনুযায়ী প্রমাণপত্র সংযুক্ত করুন। যেমন:
- নাম পরিবর্তন: নাম পরিবর্তনের আদালত আদেশ অথবা স্থানীয় প্রশাসনের প্রমাণপত্র।
- জন্ম তারিখ সংশোধন: জন্ম সনদ অথবা শিক্ষাগত সনদপত্র।
- ঠিকানা সংশোধন: নতুন ঠিকানার প্রমাণপত্র (বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি)।
- পিতামাতার নাম সংশোধন: জন্ম সনদ অথবা পিতামাতার পরিচয়পত্র।
- সংশোধনীর প্রয়োজন অনুযায়ী প্রমাণপত্র সংযুক্ত করুন। যেমন:
- ফরম জমা:
- সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংযুক্ত করে এবং ফরমটি পূরণ করে নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে জমা দিন।
- ফি প্রদান:
- সংশোধনের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দিন এবং রসিদ সংগ্রহ করুন। ফি প্রদানের পদ্ধতি এবং পরিমাণ আপনার সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিস থেকে জানুন।
- আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন:
- আবেদন জমা দেওয়ার পরে একটি রিসিপ্ট বা রশিদ সংগ্রহ করুন। এটি ভবিষ্যতে ট্র্যাকিং ও ফলো-আপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য:
- আবেদনকারীর নাম: যেমন পাসপোর্টে উল্লেখিত।
- পাসপোর্ট নম্বর: বর্তমান পাসপোর্টে উল্লেখিত।
- সংশোধনের ধরন: কি সংশোধন করতে চান (নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা ইত্যাদি)।
- সংশোধনের কারণ: সংশোধনের কারণ উল্লেখ করতে হবে।
- প্রমাণপত্র: সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র সংযুক্ত করতে হবে।
ফলো-আপ:
- সংশোধনের স্ট্যাটাস চেক করতে অনলাইনে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন অথবা সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করুন।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই আপনার পাসপোর্ট সংশোধন করতে পারবেন
10 বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে নিম্নলিখিত ফি প্রযোজ্য:
- নিয়মিত ডেলিভারি: ৪৮ পৃষ্ঠা – ৮,০৫০ টাকা, ৬৪ পৃষ্ঠা – ১০,৩৫০ টাকা
- এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ৪৮ পৃষ্ঠা – ১০,৩৫০ টাকা, ৬৪ পৃষ্ঠা – ১৩,৮০০ টাকা
- সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ৪৮ পৃষ্ঠা – ১৩,৮০০ টাকা।
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম
পাসপোর্ট করার জন্য প্রথমে অনলাইনে ভিজিট করুন ই-পাসপোর্ট পোর্টাল। সেখানে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা জন্ম নিবন্ধন অনুসারে অনলাইনে আবেদন করুন। আবেদনে ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা, ও পিতা-মাতার তথ্য সঠিকভাবে দিন। আবেদন Submit করার পর, এ চালানের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি জমা দিন। সবশেষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনটি পাসপোর্ট অফিসে জমা দিন।
ই পাসপোর্ট করার খরচ
- নিয়মিত ডেলিভারি: ৪৮ পৃষ্ঠা – ৮,০৫০ টাকা, ৬৪ পৃষ্ঠা – ১০,৩৫০ টাকা
- এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ৪৮ পৃষ্ঠা – ১০,৩৫০ টাকা, ৬৪ পৃষ্ঠা – ১৩,৮০০ টাকা
- সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি: ৪৮ পৃষ্ঠা – ১৩,৮০০ টাকা।
আপনি যদি আরও বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আপনি আপনার স্থানীয় পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক
পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে ভিসা চেক করার প্রক্রিয়া সাধারণত দেশের নির্দিষ্ট ভিসা চেকিং পোর্টালের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এখানে কিছু সাধারণ ধাপ দেওয়া হলো যা আপনাকে ভিসার স্ট্যাটাস চেক করতে সহায়তা করবে:
- সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসা চেকিং ওয়েবসাইটে যান:
- আপনি যে দেশের ভিসা চেক করতে চান সেই দেশের সরকারি ওয়েবসাইট বা ইমিগ্রেশন পোর্টাল ব্যবহার করতে পারেন।
- উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশি ভিসার জন্য আপনি Visa Application Tracking System -https://www.visa.gov.bd/ ব্যবহার করতে পারেন।
- লগইন বা রেজিস্ট্রেশন করুন:
- কিছু ওয়েবসাইটে আপনি লগইন বা রেজিস্ট্রেশন করতে হতে পারে।
- যদি আপনি নতুন ব্যবহারকারী হন, তাহলে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
- প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করুন:
- আপনার পাসপোর্ট নম্বর, জন্ম তারিখ, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করুন।
- কিছু ক্ষেত্রে, আপনাকে আবেদন নম্বরও প্রদান করতে হতে পারে।
- স্ট্যাটাস চেক করুন:
- সব তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করার পরে, “Check Status” বা সমতুল্য বোতামে ক্লিক করুন।
- আপনার ভিসার বর্তমান স্ট্যাটাস দেখা যাবে।
- যোগাযোগ করুন:
- যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস বা কনস্যুলেটে যোগাযোগ করতে পারেন।
প্রতিটি দেশের প্রক্রিয়া ভিন্ন হতে পারে, তাই আপনি যেখান থেকে ভিসা আবেদন করেছেন সেই দেশের সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট বা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
ডেলিভারি স্লিপ দিয়ে পাসপোর্ট চেক
ডেলিভারি স্লিপ দিয়ে পাসপোর্ট চেক করতে আপনি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে পারেন:
- অনলাইন পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেকিং ওয়েবসাইটে যান:
- বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইট
- ওয়েবসাইটে লগইন করুন:
- যদি আপনার একটি অ্যাকাউন্ট থাকে তবে সেটিতে লগইন করুন।
- যদি না থাকে, তবে একটি নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
- প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করুন:
- আপনার পাসপোর্ট আবেদন নম্বর অথবা রিসিপ্ট নম্বর প্রদান করুন।
- আপনার জন্ম তারিখ অথবা অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করুন।
- পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করুন:
- সব তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করার পরে, আপনি আপনার পাসপোর্টের বর্তমান স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন।
- ডেলিভারি স্লিপ ব্যবহার করুন:
- ডেলিভারি স্লিপে দেওয়া রিসিপ্ট নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য ওয়েবসাইটে প্রদান করে স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন।
আপনার পাসপোর্টের স্ট্যাটাস সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য পাসপোর্ট অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।
পাসপোর্ট পিক
পাসপোর্ট রিনিউ করতে কি কি লাগে
পাসপোর্ট রিনিউ করতে সাধারণত এই কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন হয়:
- পুরানো পাসপোর্ট: রিনিউ করার জন্য আপনার পুরানো পাসপোর্টের অবশ্যই হতে হবে।
- টিন নম্বর কার্ড: আপনার সঠিক স্যারিয়াল নম্বর থাকা প্রয়োজন।
- জন্ম সনদ বা অন্যান্য পরিচিতি প্রমাণ: আপনার পরিচিতি প্রমাণ হিসেবে জন্ম সনদ অথবা অন্যান্য প্রমাণপত্রের কপি দরকার হতে পারে।
- পাসপোর্ট আবেদন ফর্ম: সঠিকভাবে পূরণ করা ফর্ম অথবা অনলাইনে আবেদন করার জন্য অনলাইন ফর্মের সাথে সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা।
- আবেদন ফি: রিনিউ করার জন্য পাসপোর্ট আবেদন ফি প্রদান করতে হবে।
এছাড়াও, অনিয়মিত স্থিতিশীলতা যে কোন অতিরিক্ত কাগজপত্রের প্রয়োজন হতে পারে, যেমন ছবি প্রাপ্তি বা অবস্থান প্রমাণ হিসেবে পুনর্নবীন স্থানান্তরের জন্য।
পাসপোর্ট সম্পর্কে প্রশ্নঃ
ঢাকা পাসপোর্ট অফিস কোথায়?
ঢাকা পাসপোর্ট অফিসের ঠিকানা হলো: এগারগাঁও, শেরে-বাংলা নগর, ঢাকা 1207, বাংলাদেশ।
পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?
৪৮ পৃষ্ঠা – ৮,০৫০ টাকা, ৬৪ পৃষ্ঠা – ১০,৩৫০ টাকা।
আমাদের শেষকথাঃ
আশাকরি, আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে খুবই সহজে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম – অনলাইন পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনার যদি এই বিষয়ে আরও প্রশ্ন থাকে, তাহলে আমাকে জিজ্ঞাসা করতে দ্বিধাবোধ করবেন না। আজকের লেখাটি ভালো লাগলে, আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।।