আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা , টেক যুক্তি ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আজ আমি আপনাদের জানাবো পর্তুগাল টাকার মান কত : পর্তুগাল ১ ইউরো বাংলাদেশের কত টাকা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
পর্তুগাল টাকার মান বলতে বোঝায় এক পর্তুগাল ইউরো (EUR) কত বাংলাদেশি টাকা (BDT) এর সমান।ক্রয় রেট হলো আপনি যখন EUR কিনতে চান তখন বিক্রেতা কত BDT চাইবে। বিক্রয় রেট হলো আপনি যখন EUR বিক্রি করতে চান তখন ক্রেতা কত BDT দেবে।
পর্তুগাল টাকার মান কত
চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকে পর্তুগালের মুদ্রায় বাংলাদেশি টাকার রেট কত। পর্তুগাল এর ১ ইউরো সমান আজকে বাংলাদেশি টাকার মূল্য ১২৫ টাকা ৮৪ পয়সা।এই টাকার এক্সচেন্জ রেট পাওয়া যাবে, বিভিন্ন বাংলাদেশি ব্যাংকে।বিকাশে পর্তুগাল এর ১ ইউরো সমান আজকে বাংলাদেশি টাকার মূল্য ১২৫ টাকা ৮৪ পয়সা।ক্যাশের মাধ্যমে নিতে চাইলেও আজকে এক্সচেন্জ রেট পাবেন ১২৫ টাকা ৮৪ পয়সা।পর্তুগাল ইউরোর বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী, ১ পর্তুগিজ ইউরো (EUR) সমান প্রায় ১২৫.৮৪ বাংলাদেশি টাকা (BDT)।
পর্তুগাল টাকার রেট কত
মাধ্যম | পর্তুগাল ১ ইউরো সমান (বাংলাদেশি টাকা) |
ব্যাংক | ১২৫.৮৪ টাকা |
বিকাশ | ১২৫.৮৪ টাকা |
ক্যাশ | ১২৫.৮৪ টাকা |
বিভিন্ন দেশের টাকার রেট
বিভিন্ন দেশের টাকার রেট জানতে নিচের ছক থেকে সেই দেশের নামে ক্লিক করুন এবং লাইভ টাকার রেট জেনে নিন।
সৌদি আরব | মালয়েশিয়া | কাতার |
দুবাই | কিরগিজস্তান | ইতালি |
গ্রিস | পর্তুগাল | ভিয়েতনাম |
কানাডা | কুয়েত | মালদ্বীপ |
ওমান | ফ্রান্স | ফিনল্যান্ড |
সিঙ্গাপুর | সুইজারল্যান্ড | ভূটান |
স্পেন | ইরাক | কসোভো |
নেদারল্যান্ডস | জার্মানি | সিরিয়া |
নেপাল | আমেরিকা | পাকিস্থান |
পর্তুগাল বেতন কত
পর্তুগালে বেতন বিভিন্ন পেশা, অভিজ্ঞতা, এবং অবস্থান অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। তবে, কিছু সাধারণ তথ্য নিচে দেওয়া হলো:
- ন্যূনতম বেতন: 2024 সালের জন্য পর্তুগালের ন্যূনতম মাসিক বেতন প্রায় €810 (ইউরো)।
- গড় বেতন: পর্তুগালে গড় মাসিক বেতন প্রায় €1,200 থেকে €1,500 (ইউরো) হতে পারে। উচ্চ অভিজ্ঞতা ও বিশেষ দক্ষতার জন্য এটি আরও বেশি হতে পারে।
- উচ্চ বেতন: তথ্যপ্রযুক্তি, চিকিৎসা, ইঞ্জিনিয়ারিং, এবং ফিনান্সিয়াল সেক্টরে কাজ করা ব্যক্তিরা সাধারণত €2,000 থেকে €5,000 (ইউরো) বা তার বেশি বেতন পেতে পারেন।
বিভিন্ন পেশায় গড় বেতন:
- তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি): €2,000 থেকে €3,500
- মেডিকেল ডাক্তার: €3,000 থেকে €6,000
- ইঞ্জিনিয়ার: €1,800 থেকে €4,000
- শিক্ষক: €1,200 থেকে €2,500
- হোটেল ও পর্যটন: €900 থেকে €1,500
এই তথ্যগুলি আনুমানিক এবং বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত। বেতন স্থানীয় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, কোম্পানির নীতি, এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
পর্তুগাল ভিসা
পর্তুগাল ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হবে। আপনার ভিসার ধরন আপনার যাত্রার উদ্দেশ্য অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণত পর্যটন, ব্যবসা, ছাত্র, কাজ, বা পরিবার পুনর্মিলনের জন্য ভিসা দরকার হতে পারে। এখানে পর্তুগাল ভিসা আবেদনের সাধারণ ধাপগুলো দেওয়া হলো:
1. ভিসার ধরন নির্ধারণ:
আপনার ভিসার ধরন নির্ধারণ করুন। সাধারণ ভিসার ধরনগুলো হলো:
- শেঞ্জেন (Schengen) পর্যটন ভিসা: ৯০ দিনের মধ্যে স্বল্প মেয়াদী ভ্রমণের জন্য।
- ব্যবসা ভিসা: ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত সফরের জন্য।
- ছাত্র ভিসা: শিক্ষার জন্য।
- কাজের ভিসা: চাকরির জন্য দীর্ঘমেয়াদী অবস্থান।
- পরিবার পুনর্মিলন ভিসা: পরিবারের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য।
2. প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ:
আপনার ভিসার ধরন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নথিগুলি সংগ্রহ করুন। সাধারণত প্রয়োজনীয় নথিগুলি হলো:
- পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম
- বৈধ পাসপোর্ট (অন্তত দুইটি খালি পৃষ্ঠা এবং আবেদনকৃত ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও অন্তত তিন মাস বৈধ থাকতে হবে)
- সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- ফ্লাইটের বুকিং কাগজপত্র
- ভ্রমণের উদ্দেশ্য সমর্থনকারী নথি (যেমন: আমন্ত্রণপত্র, হোটেল বুকিং, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি, চাকরির প্রস্তাবপত্র)
- ভ্রমণ বীমা (কমপক্ষে €30,000 কভারেজ)
- আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট, স্পন্সর লেটার ইত্যাদি)
3. ভিসা আবেদন:
নিকটবর্তী পর্তুগিজ কনস্যুলেট বা ভিসা আবেদন কেন্দ্র (ভিএফএস গ্লোবাল বা অন্যান্য) এ আপনার আবেদন জমা দিন। কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদন করা সম্ভব হতে পারে।
4. আবেদন ফি প্রদান:
ভিসার আবেদন ফি প্রদান করুন। ফি ভিসার ধরন এবং আপনার দেশের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে।
5. সাক্ষাৎকার ও বায়োমেট্রিক তথ্য:
আবেদন জমা দেওয়ার পরে, আপনাকে একটি সাক্ষাৎকারের জন্য এবং বায়োমেট্রিক তথ্য (ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি) জমা দিতে হতে পারে।
6. প্রসেসিং ও সিদ্ধান্ত:
ভিসা আবেদন প্রসেসিংয়ের জন্য কিছু সময় লাগতে পারে (সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ দিন)। আপনার আবেদন গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত আপনাকে জানানো হবে।
7. ভিসা সংগ্রহ:
আপনার আবেদন অনুমোদিত হলে, আপনার পাসপোর্টে ভিসা স্টিকার লাগানো হবে এবং আপনি এটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
পর্তুগাল ইমিগ্রেশন ও ভিসা সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য:
- পর্তুগাল কনস্যুলেটের ওয়েবসাইট
- VFS Global পর্তুগাল
আপনি যদি আরও সাহায্য চান বা আপনার নির্দিষ্ট প্রশ্ন থাকে, তবে আপনার নিকটবর্তী পর্তুগিজ কনস্যুলেট বা ভিসা আবেদন কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করুন।
পর্তুগাল ভিসা আবেদন ২০২৪
২০২৪ সালে পর্তুগাল ভিসার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়াটি সাধারণত নিম্নলিখিত ধাপগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে:
1. ভিসার ধরন নির্ধারণ:
আপনার ভিসার ধরন নির্ধারণ করুন। পর্তুগাল বিভিন্ন ধরনের ভিসা প্রদান করে, যেমন:
- শেঞ্জেন (Schengen) পর্যটন ভিসা: ৯০ দিনের মধ্যে স্বল্প মেয়াদী ভ্রমণের জন্য।
- ব্যবসা ভিসা: ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত সফরের জন্য।
- ছাত্র ভিসা: শিক্ষার জন্য।
- কাজের ভিসা: চাকরির জন্য দীর্ঘমেয়াদী অবস্থান।
- পরিবার পুনর্মিলন ভিসা: পরিবারের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য।
2. প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ:
আপনার ভিসার ধরন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নথিগুলি সংগ্রহ করুন। সাধারণত প্রয়োজনীয় নথিগুলি হলো:
- পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম
- বৈধ পাসপোর্ট (অন্তত দুইটি খালি পৃষ্ঠা এবং আবেদনকৃত ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও অন্তত তিন মাস বৈধ থাকতে হবে)
- সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- ফ্লাইটের বুকিং কাগজপত্র
- ভ্রমণের উদ্দেশ্য সমর্থনকারী নথি (যেমন: আমন্ত্রণপত্র, হোটেল বুকিং, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি, চাকরির প্রস্তাবপত্র)
- ভ্রমণ বীমা (কমপক্ষে €30,000 কভারেজ)
- আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট, স্পন্সর লেটার ইত্যাদি)
3. ভিসা আবেদন:
নিকটবর্তী পর্তুগিজ কনস্যুলেট বা ভিসা আবেদন কেন্দ্র (ভিএফএস গ্লোবাল বা অন্যান্য) এ আপনার আবেদন জমা দিন। কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদন করা সম্ভব হতে পারে।
4. আবেদন ফি প্রদান:
ভিসার আবেদন ফি প্রদান করুন। ফি ভিসার ধরন এবং আপনার দেশের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে।
5. সাক্ষাৎকার ও বায়োমেট্রিক তথ্য:
আবেদন জমা দেওয়ার পরে, আপনাকে একটি সাক্ষাৎকারের জন্য এবং বায়োমেট্রিক তথ্য (ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি) জমা দিতে হতে পারে।
6. প্রসেসিং ও সিদ্ধান্ত:
ভিসা আবেদন প্রসেসিংয়ের জন্য কিছু সময় লাগতে পারে (সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ দিন)। আপনার আবেদন গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত আপনাকে জানানো হবে।
7. ভিসা সংগ্রহ:
আপনার আবেদন অনুমোদিত হলে, আপনার পাসপোর্টে ভিসা স্টিকার লাগানো হবে এবং আপনি এটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক ও রিসোর্স:
- পর্তুগাল কনস্যুলেটের ওয়েবসাইট: Portugal Consulate
- VFS Global পর্তুগাল: VFS Global Portugal
আপনি যদি আরও সাহায্য চান বা আপনার নির্দিষ্ট প্রশ্ন থাকে, তবে আপনার নিকটবর্তী পর্তুগিজ কনস্যুলেট বা ভিসা আবেদন কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করুন।
নামাজের সময়সূচি পর্তুগাল
পর্তুগালে নামাজের সময়সূচি শহর অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণত নামাজের পাঁচটি সময়সূচি নিচের মতো হয়:
- ফজর (Fajr): ভোরের আগে
- যোহর (Dhuhr): দুপুরের সময়
- আসর (Asr): বিকালের সময়
- মাগরিব (Maghrib): সূর্যাস্তের পর
- ইশা (Isha): রাতের শুরুতে
আপনার শহরের সঠিক সময়সূচি জানার জন্য বিভিন্ন ইসলামিক ওয়েবসাইট ও অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ও অ্যাপ যা সঠিক নামাজের সময়সূচি প্রদান করে:
- IslamicFinder
- Muslim Pro
- Salahtimes
এই ওয়েবসাইটগুলোতে আপনি আপনার শহরের নাম নির্বাচন করে নামাজের সঠিক সময়সূচি দেখতে পারবেন।
পর্তুগালের পাসপোর্ট কতটা শক্তিশালী
পর্তুগালের পাসপোর্ট বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী পাসপোর্টগুলির মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি বহনকারীদের জন্য অনেক সুবিধা প্রদান করে। কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা নিচে উল্লেখ করা হলো:
ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ
পর্তুগালের পাসপোর্টধারীরা অনেক দেশে ভিসা-মুক্ত বা আগমনের পর ভিসা নিয়ে ভ্রমণ করতে পারেন। বর্তমানে পর্তুগালের পাসপোর্টধারীরা প্রায় ১৮৭টি দেশে ভিসা-মুক্ত বা অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পান।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য
পর্তুগাল ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ায়, পর্তুগালের পাসপোর্টধারীরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশগুলিতে অবাধে ভ্রমণ, কাজ, এবং বসবাস করতে পারেন।
বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতা
পর্তুগালের পাসপোর্ট বিশ্বব্যাপী অনেক দেশেই উচ্চ গ্রহণযোগ্যতা পায়, যার ফলে ভ্রমণকারীরা অনেক দেশে সহজেই প্রবেশ করতে পারেন।
হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স (Henley Passport Index)
হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্সের মতে, ২০২৪ সালের জন্য পর্তুগালের পাসপোর্ট বিশ্বের শীর্ষ দশটি শক্তিশালী পাসপোর্টের মধ্যে একটি। এটি ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ সুবিধা অনুযায়ী পাসপোর্টের শক্তিমত্তা নির্ধারণ করে।
বৈশ্বিক সম্পর্ক
পর্তুগালের বৈশ্বিক কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং অংশীদারিত্বের কারণে, পর্তুগালের পাসপোর্টধারীরা অনেক দেশে বিশেষ সুবিধা পান।
আপনি যদি পর্তুগালের পাসপোর্ট পেতে আগ্রহী হন, তবে এর জন্য প্রয়োজনীয় নথি, প্রক্রিয়া, এবং যোগ্যতা সম্পর্কে আপনার নিকটবর্তী পর্তুগিজ কনস্যুলেট বা ইমিগ্রেশন অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
পর্তুগাল পাসপোর্ট দিয়ে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
পর্তুগালের পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের অনেক দেশে ভিসা-মুক্ত বা আগমনের পর ভিসা সুবিধা পেয়ে ভ্রমণ করতে পারেন। নিম্নে কিছু উল্লেখযোগ্য দেশ এবং অঞ্চলগুলি তালিকাভুক্ত করা হলো যেখানে পর্তুগালের পাসপোর্টধারীরা এই সুবিধা পান:
ইউরোপ
- শেঙ্গেন অঞ্চল: সমস্ত শেঙ্গেন দেশ, যেমন: ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড ইত্যাদি।
- ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশ: যেমন: যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড।
উত্তর আমেরিকা
- কানাডা: আগমনের পর ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (eTA)।
- মেক্সিকো: ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকার।
- বাহামাস, বার্বাডোস, ডোমিনিকা: ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকার।
দক্ষিণ আমেরিকা
- আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চিলি, কলোম্বিয়া, পেরু, উরুগুয়ে: ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকার।
এশিয়া
- হংকং: ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকার।
- জাপান: ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকার।
- মালয়েশিয়া: ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকার।
- সিঙ্গাপুর: ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকার।
- দক্ষিণ কোরিয়া: ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকার।
আফ্রিকা
- কেপ ভার্দে, মরক্কো, সিশেলস: ভিসা-মুক্ত বা আগমনের পর ভিসা সুবিধা।
ওশেনিয়া
- ফিজি, নিউ জিল্যান্ড: ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকার।
- মার্শাল আইল্যান্ডস: আগমনের পর ভিসা সুবিধা।
মধ্যপ্রাচ্য
- ইসরায়েল: ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকার।
- সংযুক্ত আরব আমিরাত: ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকার।
এই তালিকাটি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে, তাই ভ্রমণের আগে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস বা কনস্যুলেট থেকে সর্বশেষ তথ্য যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ।
পর্তুগালে স্টুডেন্ট ভিসা
পর্তুগালে শিক্ষার্থী ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হবে। পর্তুগালে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থী ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ:
1. প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ:
আপনার আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় নথি প্রস্তুত করুন:
- পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম
- বৈধ পাসপোর্ট (কমপক্ষে দুইটি খালি পৃষ্ঠা এবং আবেদনকৃত ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও অন্তত তিন মাস বৈধ থাকতে হবে)
- সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অফার লেটার বা ভর্তি স্বীকৃতি পত্র
- প্রত্যয়নপত্র বা রেজিস্ট্রেশন প্রমাণ
- আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট, স্কলারশিপ প্রমাণ ইত্যাদি)
- স্বাস্থ্য বীমা (পুরো ভিসার মেয়াদকালের জন্য)
- আবাসন প্রমাণ (হোস্টেল বুকিং, লিজ এগ্রিমেন্ট ইত্যাদি)
- ফ্লাইটের বুকিং কাগজপত্র
2. ভিসা আবেদন জমা দিন:
নিকটবর্তী পর্তুগিজ কনস্যুলেট বা ভিসা আবেদন কেন্দ্র (VFS Global বা অন্যান্য) এ আপনার আবেদন জমা দিন। কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদন করা সম্ভব হতে পারে।
3. আবেদন ফি প্রদান:
ভিসার আবেদন ফি প্রদান করুন। ফি ভিসার ধরন এবং আপনার দেশের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে।
4. সাক্ষাৎকার ও বায়োমেট্রিক তথ্য:
আবেদন জমা দেওয়ার পরে, আপনাকে একটি সাক্ষাৎকারের জন্য এবং বায়োমেট্রিক তথ্য (ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি) জমা দিতে হতে পারে।
5. প্রসেসিং ও সিদ্ধান্ত:
ভিসা আবেদন প্রসেসিংয়ের জন্য কিছু সময় লাগতে পারে (সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ দিন)। আপনার আবেদন গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত আপনাকে জানানো হবে।
6. ভিসা সংগ্রহ:
আপনার আবেদন অনুমোদিত হলে, আপনার পাসপোর্টে ভিসা স্টিকার লাগানো হবে এবং আপনি এটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক ও রিসোর্স:
- পর্তুগাল কনস্যুলেটের ওয়েবসাইট: Portugal Consulate
- VFS Global পর্তুগাল: VFS Global Portugal
পর্তুগালে শিক্ষার্থী ভিসা প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় নথি এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য আপনার নিকটবর্তী পর্তুগিজ কনস্যুলেট বা ভিসা আবেদন কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
পর্তুগাল এম্বাসি বাংলাদেশ
বাংলাদেশে পর্তুগাল এম্বাসি সম্পর্কিত তথ্য নিচে দেওয়া হলো:
পর্তুগাল এম্বাসি, ঢাকা, বাংলাদেশ:
- ঠিকানা: House No. 09, Road No. 90, Gulshan-2, Dhaka-1212, Bangladesh
- ফোন: +880 2 988 8791
- ইমেইল: sconsular.daca@mne.pt
- ওয়েবসাইট: Embassy of Portugal in Dhaka
পর্তুগাল এম্বাসিতে বিভিন্ন সেবা পাওয়া যায় যেমন ভিসা আবেদন, নাগরিকত্ব সেবা, নোটারিয়াল সার্ভিস এবং আরও অনেক কিছু। এম্বাসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে
পর্তুগাল কাজের ভিসা অনলাইনে আবেদন করুন
পর্তুগালের কাজের ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করার প্রক্রিয়া নিয়ে নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো:
পর্তুগালের কাজের ভিসা অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া:
- পোর্টাল ব্যবহার করুন:
- প্রথমে, আপনি পর্তুগাল ইমিগ্রেশন এবং বর্ডার সার্ভিস (SEF) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে পারেন।
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ করুন:
- বৈধ পাসপোর্ট
- কাজের চুক্তিপত্র
- স্বাস্থ্য বীমা
- আর্থিক সাপোর্টের প্রমাণ
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- ছবি
- অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ করুন:
- SEF এর ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
- প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন।
- ডকুমেন্ট আপলোড করুন:
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
- ফি পরিশোধ করুন:
- আবেদন ফি অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে।
- এম্বাসিতে সাক্ষাৎকারের তারিখ নির্ধারণ করুন:
- অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়ার পর এম্বাসির সাথে যোগাযোগ করে সাক্ষাৎকারের তারিখ নির্ধারণ করুন।
- সাক্ষাৎকার দিন:
- নির্ধারিত তারিখে সমস্ত ডকুমেন্ট সহ এম্বাসিতে গিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে হবে।
- ভিসার স্ট্যাটাস চেক করুন:
- সাক্ষাৎকার শেষে আপনার ভিসার স্ট্যাটাস অনলাইনে চেক করতে পারবেন।
গুরুত্বপূর্ণ লিংকস:
এই তথ্যগুলো অনুযায়ী আপনি পর্তুগালের কাজের ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। যদি কোনো বিশেষ প্রশ্ন থাকে বা অতিরিক্ত সহায়তা প্রয়োজন হয়, তাহলে পর্তুগাল এম্বাসির সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।
পর্তুগাল জাতীয় ফুটবল দল খেলোয়াড়
পর্তুগাল জাতীয় ফুটবল দল বিশ্ব ফুটবলে একটি গুরুত্বপূর্ণ দল এবং তাদের দলে বেশ কিছু বিখ্যাত খেলোয়াড় রয়েছেন। বর্তমানে পর্তুগাল দলের কিছু মূল খেলোয়াড়ের তালিকা নিচে দেওয়া হলো:
গোলরক্ষক:
- রুই প্যাট্রিসিও (Rui Patrício)
- আন্থনি লোপেজ (Anthony Lopes)
ডিফেন্ডার:
- পেপে (Pepe)
- রুবেন ডায়াস (Rúben Dias)
- জোয়াও ক্যান্সেলো (João Cancelo)
- রাফায়েল গুরেইরো (Raphaël Guerreiro)
- নেলসন সেমেদো (Nélson Semedo)
মিডফিল্ডার:
- ব্রুনো ফার্নান্দেস (Bruno Fernandes)
- রুবেন নেভেস (Rúben Neves)
- জোয়াও মাউটিনহো (João Moutinho)
- উইলিয়াম কার্ভালহো (William Carvalho)
- রেনাতো স্যাঞ্চেস (Renato Sanches)
ফরওয়ার্ড:
- ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (Cristiano Ronaldo)
- জোয়াও ফেলিক্স (João Félix)
- আন্দ্রে সিলভা (André Silva)
- ডিয়েগো জোতা (Diogo Jota)
- বার্নার্ডো সিলভা (Bernardo Silva)
পর্তুগাল জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের তালিকা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হতে পারে কারণ দলটি বিভিন্ন প্রতিযোগিতা এবং ম্যাচের জন্য খেলোয়াড়দের নির্বাচন করে। তবে এই খেলোয়াড়রা সাম্প্রতিক সময়ে দলের মূল শক্তি হিসেবে পরিচিত।
পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে
পর্তুগাল ভ্রমণের খরচ বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন যাতায়াত, থাকার জায়গা, খাওয়াদাওয়া, ভিসা ফি, এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত খরচ। এখানে একটি সাধারণ ধারনা দেয়া হলো:
১. ভিসা ফি:
- শেঞ্জেন ভিসা ফি: প্রায় ৬০ ইউরো (প্রায় ৭,০০০ টাকা)
২. যাতায়াত খরচ:
- ফ্লাইট টিকেট: ঢাকা থেকে লিসবন বা অন্য কোনও প্রধান শহরে ফ্লাইটের টিকেটের দাম সিজন এবং এয়ারলাইন্সের উপর নির্ভর করে। সাধারণত রিটার্ন টিকেটের দাম ৭০,০০০ – ১,২০,০০০ টাকা হতে পারে।
৩. থাকার খরচ:
- হোটেল: প্রতিদিন ৫০ – ১৫০ ইউরো (প্রায় ৫,৮০০ – ১৭,০০০ টাকা)
- হোস্টেল বা এয়ারবিএনবি: প্রতিদিন ২০ – ৭০ ইউরো (প্রায় ২,৩০০ – ৮,০০০ টাকা)
৪. খাওয়াদাওয়ার খরচ:
- রেস্টুরেন্টে খাওয়া: এক বেলার খাবার ১০ – ৩০ ইউরো (প্রায় ১,২০০ – ৩,৫০০ টাকা)
- ফাস্ট ফুড বা সস্তা রেস্টুরেন্ট: ৫ – ১০ ইউরো (প্রায় ৫৮০ – ১,২০০ টাকা)
৫. পরিবহন খরচ:
- লোকাল ট্রান্সপোর্ট: প্রতিদিন ৫ – ১৫ ইউরো (প্রায় ৫৮০ – ১,৭০০ টাকা)।
৬. অন্যান্য খরচ:
- স্মারক/সুভেনির: ১০ – ৫০ ইউরো (প্রায় ১,২০০ – ৫,৮০০ টাকা)
- ট্যুর এবং এন্টারটেইনমেন্ট: ২০ – ১০০ ইউরো (প্রায় ২,৩০০ – ১১,৬০০ টাকা)
মোট খরচ:
এক সপ্তাহের জন্য (প্রায়) মোট খরচ:
- কমপক্ষে: ১,২০,০০০ – ১,৫০,০০০ টাকা
- গড়পড়তা: ২,০০,০০০ – ৩,০০,০০০ টাকা
এই হিসেব শুধুমাত্র একটি ধারণা দেয়, খরচ অনেক বিষয়েই পরিবর্তিত হতে পারে। আপনাকে সঠিক খরচের জন্য নির্দিষ্ট সময় এবং প্ল্যান অনুযায়ী হিসেব করতে হবে।
পর্তুগাল সম্পর্কে প্রশ্নঃ
পর্তুগাল ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?
পর্তুগাল ১ টাকা বাংলাদেশের ১২৫.৮৪ টাকা।
পর্তুগাল টাকার মান কত?
পর্তুগাল টাকার মান ১২৫.৮৪ টাকা।
পর্তুগাল ১ ইউরো বাংলাদেশের কত?
পর্তুগাল ১ ইউরো বাংলাদেশের ১২৫.৮৪ টাকা।
পর্তুগালের রাজধানীর নাম কি?
পর্তুগালের রাজধানীর নাম হলো লিসবন (Lisbon)।
পর্তুগাল ১০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা
পর্তুগাল ১০০ টাকা বাংলাদেশের ১২,৫৮৪ টাকা।
পর্তুগিজ ভাষায় বাংলা ব্যাকরণ প্রথম রচনা করেন কে?
পর্তুগিজ ভাষায় বাংলা ব্যাকরণের প্রথম রচনা করেছেন ‘জোয়ান ডে বারোসা’ (João de Barros)। তার গ্রন্থ ‘Grammatica da Língua Portuguesa’ (পর্তুগিজ ভাষার ব্যাকরণ) ছিল একটি প্রথমিক গ্রন্থ, যা ১৫৬২ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
পর্তুগাল মুসলিম জনসংখ্যা কত?
পর্তুগালের মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ১.১ মিলিয়ন মানুষ, যারা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০% অংশ গ্রহণ করে।
পর্তুগালের আয়তন ও জনসংখ্যা কত?
২০২৩ এর তথ্য অনুসারে পর্তুগালের আয়তন প্রায় ৯২,২৩৫ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ১০.৫ মিলিয়ন।
পর্তুগাল হিন্দু জনসংখ্যা কত?
পর্তুগালের হিন্দু জনসংখ্যা খুব অল্প। মোট জনসংখ্যার মধ্যে হিন্দুদের সংখ্যা খুব কম এবং তারা প্রায় ০.১% অংশ গ্রহণ করেন।
পর্তুগালের আবহাওয়া কেমন?
পর্তুগালের আবহাওয়া প্রায়ই সুষ্ঠ এবং ভালো হয়। এটি উষ্ণ-উষ্ণমিশ্র অধ্যাত্ম অনুভূতির জন্য পরিচিত। গড় তাপমাত্রা শীতকালে ১০-১৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এবং গরমকালে ২৫-৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত পাওয়া যায়। সুখবর হলো, এটি ধরণটি বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সাধারণত শীতকালে শীতল এবং গরমকালে প্রাকৃতিক গরম থাকে।
ঢাকায় পর্তুগাল দূতাবাস
ঢাকায় পর্তুগালের দূতাবাস নেই। পর্তুগালের হাইকমিশন ঢাকায় রয়েছে, যা দেশের সম্প্রদায়িক মামলা, পাসপোর্ট সেবা, ভিসা প্রসেসিং ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে।
পর্তুগাল টাইম ইন বাংলাদেশ
পর্তুগালের স্থানীয় সময় বাংলাদেশের সময় থেকে ৪ ঘণ্টা পূর্বে। অর্থাৎ, যদি ঢাকার সময় সকাল ১০:০০ টা হয়, তবে লিসবনে সময় সকাল ৬:০০ টা।
আমাদের শেষকথাঃ
আশাকরি, আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে খুবই সহজে পর্তুগাল টাকার মান কত : পর্তুগাল ১ ইউরো বাংলাদেশের কত টাকা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনার যদি এই বিষয়ে আরও প্রশ্ন থাকে, তাহলে আমাকে জিজ্ঞাসা করতে দ্বিধাবোধ করবেন না। আজকের লেখাটি ভালো লাগলে, আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।।