Tech Jukti

Online Technology Blog
Menu
  • Home
  • Mobile
  • News
  • Gold
  • Currency
  • Automobile
  • Electronics
  • Food
  • Blog

Home » Currency

Currency

জাপানের ১০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

techjukti.com 24 September 2024

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা , টেক যুক্তি ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আজ আমি আপনাদের জানাবো জাপানের ১০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

বিভিন্ন দেশের টাকার রেট

বিভিন্ন দেশের টাকার রেট জানতে নিচের ছক থেকে সেই দেশের নামে ক্লিক করুন এবং লাইভ টাকার রেট জেনে নিন।

সৌদি আরবমালয়েশিয়াকাতার
দুবাইকিরগিজস্তান ইতালি
গ্রিসপর্তুগাল ভিয়েতনাম
কানাডাকুয়েতমালদ্বীপ
ওমানফ্রান্সফিনল্যান্ড
সিঙ্গাপুর সুইজারল্যান্ড ভূটান
স্পেনইরাককসোভো
নেদারল্যান্ডসজার্মানিসিরিয়া
নেপালআমেরিকাপাকিস্থান
বিভিন্ন দেশের টাকার রেট সম্পর্কে জানতে উপরের দেওয়া লিংকে ক্লিক করুন।

জাপানের ১০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

জাপানের মুদ্রা ইয়েন (¥) এবং বাংলাদেশের মুদ্রা টাকা (৳)। মুদ্রার মান প্রতিনিয়ত আন্তর্জাতিক বাজারে পরিবর্তিত হয়। তাই জাপানের ১০০ ইয়েনের বাংলাদেশী টাকায় রূপান্তরের মান নির্ভর করে চলমান এক্সচেঞ্জ রেটের ওপর। সাধারণত, ১ ইয়েনের মান বাংলাদেশে ০.৮৩ টাকা। অর্থাৎ জাপানের ১০০ ইয়েন বাংলাদেশে আনুমানিক ৮২.৮৯ টাকা।

জাপানে কোন কাজের চাহিদা বেশি

জাপানে বেশ কয়েকটি পেশায় কাজের চাহিদা বেশি, বিশেষ করে যেসব ক্ষেত্রে শ্রমিক সংকট রয়েছে। কিছু উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র নিচে দেওয়া হলো:

১. তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট

জাপানে আইটি বিশেষজ্ঞ, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এবং ডেটা অ্যানালিস্টদের চাহিদা বাড়ছে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), মেশিন লার্নিং, এবং সাইবার সিকিউরিটি ক্ষেত্রে দক্ষ পেশাজীবীদের প্রয়োজন।

২. স্বাস্থ্যসেবা

নির্মাণ এবং বয়স্কদের যত্নসেবা (Elder Care) পেশায় প্রচুর কর্মীর প্রয়োজন। জাপানের বৃদ্ধ জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় নার্স, কেয়ারগিভার এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের চাহিদা অনেক বেশি।

৩. শিক্ষা

ইংরেজি শিক্ষক, বিশেষ করে ইংরেজি ভাষার প্রশিক্ষক (English as a Second Language – ESL) হিসেবে কাজ করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। জাপানে বিদেশি শিক্ষকদের চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৪. বিনোদন ও পর্যটন শিল্প

পর্যটন খাতের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং পর্যটন সংক্রান্ত অন্যান্য সেবা খাতে কর্মীদের প্রয়োজন। এছাড়া রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফের মতো জায়গায় কাজের সুযোগও বেশি।

৫. কারখানা ও নির্মাণ শিল্প

জাপানে নির্মাণশিল্প এবং কারখানায় শ্রমিক সংকট রয়েছে। বিশেষ করে নির্মাণ শ্রমিক, যন্ত্রাংশ উৎপাদন এবং কৃষিকাজের জন্য বিদেশি কর্মীদের প্রয়োজন।

এই সব ক্ষেত্রে দক্ষতা ও ভাষার উপর নির্ভর করে কাজের সুযোগ পাওয়া যায়।

জাপান যেতে কত টাকা লাগে

জাপান যেতে খরচ বিভিন্ন বিষয়ে নির্ভর করে, যেমন ভিসা, বিমান টিকিট, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত খরচ। সাধারণত নিচের খরচগুলো যুক্ত হয়:

১. ভিসা ফি

  • টুরিস্ট ভিসা: প্রায় ৩,০০০-৫,০০০ টাকা (যদি সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা হয়)।
  • স্টুডেন্ট বা ওয়ার্ক ভিসা: খরচ বেশি হতে পারে এবং নির্দিষ্ট পরিস্থিতি অনুযায়ী আলাদা।

২. বিমান ভাড়া

ঢাকা থেকে টোকিও বা অন্য কোনো বড় শহরে যাওয়ার জন্য বিমান টিকিটের দাম ৫০,০০০ থেকে ১,২০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে, যা সিজন এবং এয়ারলাইনের উপর নির্ভর করে।

৩. থাকা খরচ

  • হোটেল বা গেস্ট হাউজে থাকার খরচ বিভিন্ন ধরনের হয়।
  • সাধারণ হোটেলের রুমের ভাড়া প্রতি রাতে ৫,০০০-২০,০০০ টাকা হতে পারে, যেখানে কম খরচে থাকার জন্য হোস্টেল বা গেস্টহাউজ বিকল্প রয়েছে।

৪. খাওয়া খরচ

জাপানে খাওয়া-দাওয়ার খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি। এক বেলার খাবারের খরচ প্রায় ৫০০ থেকে ২,০০০ টাকা হতে পারে, খাবারের ধরন অনুযায়ী।

৫. অন্যান্য খরচ

  • পরিবহন (বাস, ট্রেন, ট্যাক্সি)
  • ব্যক্তিগত খরচ (শপিং, সিম কার্ড, ইন্টারনেট)

মোট খরচের ধারণা

জাপান ভ্রমণের জন্য আনুমানিক ১,০০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে (কিছু ক্ষেত্রে আরও বেশি)। তবে, কর্মসংস্থান বা পড়াশোনার জন্য গেলে আলাদা বাজেট করতে হতে পারে।

জাপানি মেয়ে

জাপানি মেয়েদের সংস্কৃতি, জীবনযাপন, এবং ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা রয়েছে, যা তাদের দেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট দ্বারা প্রভাবিত। কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য ও দিক সম্পর্কে আলোচনা করা যেতে পারে:

১. সংস্কৃতি ও শালীনতা

জাপানি মেয়েরা সাধারণত শালীন, ভদ্র, এবং সামাজিক নিয়ম-কানুন মেনে চলে। তাদের মধ্যে বিনয়, নম্রতা, এবং অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তারা পারিবারিক এবং সামাজিক মূল্যবোধকে খুব গুরুত্ব দেয়।

২. শিক্ষা ও ক্যারিয়ার

জাপানি মেয়েরা শিক্ষাগত দিক থেকে অনেক উন্নত। আধুনিক জাপানে মেয়েরা শিক্ষিত ও ক্যারিয়ার সচেতন। অনেক মেয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছে, যেমন প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবসা, এবং বিজ্ঞান।

৩. ফ্যাশন ও স্টাইল

জাপানি মেয়েরা ফ্যাশন সচেতন এবং নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী পোশাক ও স্টাইল ধারণ করে। ঐতিহ্যবাহী পোশাক যেমন কিমোনো বিশেষ উপলক্ষে পরিধান করা হয়, তবে আধুনিক সময়ে তারা পশ্চিমা ফ্যাশনকেও গ্রহণ করেছে।

৪. সম্পর্ক ও পরিবার

জাপানি মেয়েরা সাধারণত পরিবারকে অনেক গুরুত্ব দেয়। তাদের মধ্যে পারিবারিক বন্ধন শক্তিশালী এবং তারা পরিবারের সকল সদস্যের প্রতি দায়িত্বশীল। যদিও আধুনিক সমাজে ব্যক্তিত্বের বিকাশ এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে।

৫. কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবন

জাপানে বর্তমানে মেয়েরা কাজের ক্ষেত্রে অনেক সক্রিয়। তারা বিভিন্ন পেশায় জড়িত, কিন্তু তবুও সমাজে কিছু প্রচলিত ধারণা রয়েছে, যেমন মেয়েদের পরিবার ও কর্মজীবনের মধ্যে সমন্বয় করার প্রয়োজনীয়তা।

জাপানি মেয়েদের জীবনযাত্রা এবং ব্যক্তিত্ব জাপানের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং আধুনিকতার মিশেলে তৈরি, যা তাদেরকে অনন্য করে তুলেছে।

জাপান ভিসা

জাপান ভিসা পেতে হলে কিছু নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ও শর্ত পূরণ করতে হয়। জাপান বিভিন্ন ধরণের ভিসা প্রদান করে, যেমন ট্যুরিস্ট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা ইত্যাদি। ভিসা পেতে যেসব প্রধান ধাপ ও তথ্য জানা দরকার, তা নিচে উল্লেখ করা হলো:

১. ভিসার ধরন

জাপানে যাওয়ার উদ্দেশ্যের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরণের ভিসা পাওয়া যায়:

  • ট্যুরিস্ট ভিসা: সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ভ্রমণ ও ঘোরাঘুরির উদ্দেশ্যে।
  • বিজনেস ভিসা: ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে স্বল্প সময়ের জন্য।
  • ওয়ার্ক ভিসা: কাজ করার উদ্দেশ্যে।
  • স্টুডেন্ট ভিসা: জাপানে পড়াশোনার জন্য।
  • পার্মানেন্ট রেসিডেন্স ভিসা: স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য (যারা দীর্ঘ সময় ধরে জাপানে রয়েছেন)।

২. ভিসা আবেদন করার প্রক্রিয়া

জাপান ভিসার জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয়:

  1. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ:
    প্রতিটি ভিসার জন্য আলাদা কাগজপত্রের প্রয়োজন। সাধারণত, ভিসার জন্য নিচের কাগজপত্র জমা দিতে হয়:
    • পূরণ করা ভিসা আবেদন ফর্ম।
    • পাসপোর্ট (মেয়াদ থাকতে হবে কমপক্ষে ৬ মাসের জন্য)।
    • পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
    • ফ্লাইট রিজার্ভেশন কাগজপত্র।
    • ব্যাংক স্টেটমেন্ট (প্রথম ৬ মাসের)।
    • হোটেল বুকিং বা থাকার প্রমাণ।
    • কাজ বা পড়াশোনার প্রমাণ (ওয়ার্ক/স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে)।
  2. ভিসা আবেদন ফি জমা: ভিসা ফি সাধারণত ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকার মধ্যে হয়, তবে ভিসার ধরন অনুযায়ী ফি ভিন্ন হতে পারে।
  3. জাপান দূতাবাসে আবেদন জমা:
    বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসে (ঢাকায়) আবেদন জমা দিতে হবে। আবেদন জমা দেওয়ার সময় আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্য নেওয়া হতে পারে।
  4. প্রসেসিং সময়: সাধারণত ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ৫ থেকে ১০ কার্যদিবস সময় লাগে। তবে এটি ভিসার ধরন এবং অন্যান্য পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল হতে পারে।

৩. ভিসার মেয়াদ:

  • ট্যুরিস্ট ভিসা সাধারণত ৩০ থেকে ৯০ দিনের জন্য প্রদান করা হয়।
  • ওয়ার্ক ভিসা এবং স্টুডেন্ট ভিসা সাধারণত ১ থেকে ৫ বছরের জন্য থাকে, যা নবায়নযোগ্য।

৪. ভিসা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার অর্থনৈতিক অবস্থা এবং জাপান থেকে ফেরার নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
  • ভিসা আবেদন করতে যথাসময়ে কাগজপত্র এবং প্রয়োজনীয় ফি জমা দেওয়া জরুরি।

সঠিক ও নির্ভুল তথ্যের জন্য এবং বিস্তারিত গাইডেন্সের জন্য জাপান দূতাবাসের ওয়েবসাইট পরিদর্শন করা উচিত।

জাপানের মানুষ কেমন

জাপানের মানুষ সাধারণত ভদ্র, শৃঙ্খলাপরায়ণ, এবং বিনয়ী হিসেবে পরিচিত। তাদের আচরণ, জীবনযাপন, এবং মূল্যবোধ জাপানের গভীর সংস্কৃতি এবং সামাজিক নিয়ম-কানুন দ্বারা প্রভাবিত। এখানে জাপানি মানুষের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো:

১. বিনয়ী ও শ্রদ্ধাশীল

জাপানের মানুষ একে অপরের প্রতি অত্যন্ত বিনয়ী এবং শ্রদ্ধাশীল। তারা সাধারণত সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগে নম্রতা বজায় রাখে এবং অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে। হাত মেলানোর পরিবর্তে তারা অভ্যর্থনা জানাতে মাথা নত করে (বাও করা)।

২. শৃঙ্খলাপরায়ণ ও সময়নিষ্ঠ

জাপানি মানুষ সময়নিষ্ঠ এবং শৃঙ্খলাপরায়ণ। তারা সময়ের ব্যাপারে খুবই সতর্ক এবং সব কাজেই সঠিক সময় মেনে চলতে চেষ্টা করে। জাপানিরা নিজেদের কাজ এবং দায়িত্ব পালনে অত্যন্ত সতর্ক এবং কঠোর পরিশ্রম করে থাকে।

৩. সংগঠন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করে

জাপানের মানুষ অত্যন্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সংগঠিত জীবনযাপন পছন্দ করে। শহর, রাস্তা এবং পাবলিক প্লেসে তারা নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে জায়গা পরিষ্কার রাখে। আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন মেনে চলে।

৪. শান্ত ও ধৈর্যশীল

জাপানি মানুষের মধ্যে একটি শান্ত ও ধৈর্যশীল মানসিকতা থাকে। তারা সাধারণত উত্তেজিত না হয়ে ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং কথা বলার সময় শান্তভাবে নিজেদের মনের কথা প্রকাশ করে।

৫. সমাজকেন্দ্রিক ও দলগত কাজ পছন্দ করে

জাপানের সমাজে দলগত কাজ এবং সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা ব্যক্তিগত সাফল্যের পরিবর্তে দলগত সাফল্যে বেশি গুরুত্ব দেয় এবং একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে পছন্দ করে। অফিসে বা অন্যান্য কাজের জায়গায় দলগত পরিবেশকে খুব মূল্য দেওয়া হয়।

৬. সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য

জাপানি মানুষ তাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে গভীরভাবে সম্মান করে। তারা উৎসব, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান এবং ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করে বিশেষ অনুষ্ঠান পালন করে। জাপানের ঐতিহ্যবাহী খাবার, কিমোনো, এবং চা অনুষ্ঠান তাদের সংস্কৃতির অংশ।

৭. প্রযুক্তিপ্রেমী

জাপানিরা অত্যন্ত প্রযুক্তিপ্রেমী এবং উদ্ভাবনী। জাপান বিশ্বের অন্যতম প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত দেশ এবং এখানকার মানুষ প্রযুক্তির ব্যবহার ও উন্নয়নে অগ্রগামী।

সার্বিকভাবে, জাপানি মানুষ কর্মঠ, সাংস্কৃতিক, এবং সামাজিকভাবে খুবই উন্নত। তারা নিজেদের সমাজ এবং পরিবেশের প্রতি অত্যন্ত দায়িত্বশীল।

জাপানি মাছ

জাপানিরা মাছকে তাদের খাদ্যসংস্কৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচনা করে। জাপানে বিভিন্ন ধরনের মাছ ব্যবহৃত হয়, এবং সুশি, সাশিমি, গ্রিলড ফিশসহ নানান ধরণের খাবার তৈরিতে মাছের ব্যবহার অত্যন্ত জনপ্রিয়। নিচে কয়েকটি জনপ্রিয় জাপানি মাছের নাম ও তাদের ব্যবহার উল্লেখ করা হলো:

১. সালমন (Salmon)

সালমন মাছ জাপানে খুবই জনপ্রিয়, বিশেষ করে সুশি এবং সাশিমি তৈরিতে। এর মাংস নরম এবং স্বাদে সমৃদ্ধ। এছাড়া গ্রিলড সালমনও একটি জনপ্রিয় খাবার।

২. টুনা (Tuna)

জাপানে টুনা মাছ বিভিন্ন প্রকারে ব্যবহৃত হয়। সাশিমি এবং সুশিতে টুনার কাঁচা মাংস ব্যবহৃত হয়। টুনার ফ্যাটি অংশ, বিশেষ করে টোরা (Toro), অত্যন্ত মূল্যবান এবং সুস্বাদু বলে বিবেচিত হয়।

৩. ম্যাকরেল (Mackerel)

ম্যাকরেল মাছ জাপানে সাধারণত গ্রিল করা হয় এবং রাইস বা মিসো স্যুপের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এর স্বাদ সামান্য তীব্র, এবং এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর।

৪. ইউনাগি (Unagi)

ইউনাগি হল মিষ্টি জলের ইল মাছ। এটি গ্রিল করে সয়া সসের মিষ্টি সসের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। জাপানে ইউনাগি ডিশ বিশেষ করে গ্রীষ্মের সময় খুব জনপ্রিয়।

৫. ইকা (Ika) – স্কুইড

স্কুইড (ইকা) বিভিন্ন ধরনের জাপানি ডিশে ব্যবহৃত হয়। স্কুইড সাশিমি থেকে শুরু করে গ্রিল করা এবং ফ্রাই করা অবস্থায় পরিবেশন করা হয়। জাপানের রেস্টুরেন্টগুলোতে এটি বেশ জনপ্রিয়।

৬. তাই (Tai) – রেড স্ন্যাপার

তাই মাছ জাপানের ঐতিহ্যবাহী মাছ হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি বিভিন্ন উৎসব এবং বিশেষ অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়। তাই মাছের সাশিমি এবং গ্রিল করা ডিশ বেশ জনপ্রিয়।

৭. ফুগু (Fugu) – পাফারফিশ

ফুগু মাছ বিখ্যাত হলেও এটি বিষাক্ত পাফারফিশ। এটি জাপানের অন্যতম বিপজ্জনক খাবার এবং এটি রান্না করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। ফুগু সাশিমি অত্যন্ত জনপ্রিয় কিন্তু এর সঠিক প্রস্তুত প্রয়োজন।

৮. কাতসুও (Katsuo) – বনিটো

বনিটো মাছ, যা কাতসুও নামে পরিচিত, জাপানি রান্নার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শাশিমি, টাটাকি (হালকা গ্রিলড), এবং বিভিন্ন ব্রথ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

৯. শিরাসু (Shirasu) – হোয়াইটবেইট

শিরাসু হল ক্ষুদ্র মাছ, যা সেদ্ধ বা শুকিয়ে ভাতের ওপর পরিবেশন করা হয়। এটি হালকা এবং পুষ্টিকর একটি খাবার।

জাপানি মাছে বৈচিত্র্য এবং এর ব্যবহার খাবারে বৈচিত্র্য আনে, যা জাপানি খাবারকে সারা বিশ্বে বিশেষভাবে জনপ্রিয় করেছে।

বাংলা টু জাপানি ভাষা

বাংলা থেকে জাপানি ভাষায় কিছু সাধারণ শব্দ ও বাক্যাংশের অনুবাদ করা হলে সেটি ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে উপকারে আসতে পারে। এখানে কিছু বাংলা থেকে জাপানি ভাষার অনুবাদ দেওয়া হলো:

সাধারণ অভিবাদন ও বাক্যাংশ

  1. হ্যালো – こんにちは (Konnichiwa)
  2. আপনি কেমন আছেন? – お元気ですか?(Ogenki desu ka?)
  3. আমি ভালো আছি – 私は元気です (Watashi wa genki desu)
  4. ধন্যবাদ – ありがとう (Arigatou)
  5. বিদায় – さようなら (Sayounara)
  6. হ্যাঁ – はい (Hai)
  7. না – いいえ (Iie)
  8. আপনার নাম কী? – お名前は何ですか?(O-namae wa nan desu ka?)
  9. আমার নাম… – 私の名前は…です (Watashi no namae wa…desu)

দৈনন্দিন ব্যবহৃত বাক্যাংশ

  1. এইটা কত দাম? – これはいくらですか?(Kore wa ikura desu ka?)
  2. মাফ করবেন – すみません (Sumimasen)
  3. আমি বুঝতে পারছি না – 分かりません (Wakarimasen)
  4. দয়া করে সাহায্য করুন – 手伝ってください (Tetsudatte kudasai)
  5. কিছু সমস্যা নেই – 問題ありません (Mondai arimasen)

সংখ্যা

  1. এক – 一 (Ichi)
  2. দুই – 二 (Ni)
  3. তিন – 三 (San)
  4. চার – 四 (Shi/Yon)
  5. পাঁচ – 五 (Go)
  6. দশ – 十 (Juu)

সময় সংক্রান্ত

  1. আজ – 今日 (Kyou)
  2. কাল – 明日 (Ashita)
  3. গতকাল – 昨日 (Kinou)
  4. সময় – 時間 (Jikan)

জাপানি ভাষায় বাংলা থেকে অনুবাদ করতে কিছু শব্দ বা বাক্যাংশের সরাসরি অনুবাদ না থাকায়, বাক্য গঠন এবং অর্থ প্রকাশের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন কৌশল প্রয়োজন হতে পারে। ভাষার নিয়ম ও উচ্চারণ শিখতে ধৈর্য এবং চর্চা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

জাপানে নামাজের সময়সূচি

জাপানে নামাজের সময়সূচি শহর বা অঞ্চলভেদে ভিন্ন হতে পারে, কারণ নামাজের সময় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের উপর নির্ভর করে। তবে সাধারণভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় নিম্নলিখিতভাবে বিভক্ত থাকে:

নামাজের পাঁচ ওয়াক্তের সময়সূচি (জাপানে)

১. ফজর: ভোরে, সূর্যোদয়ের আগে। ২. যোহর: দুপুরে, যখন সূর্য মধ্যাকাশে থাকে। ৩. আসর: বিকেলে, যখন সূর্য হেলে পড়ে। ৪. মাগরিব: সূর্যাস্তের সময়। ৫. ইশা: রাতের শুরুতে, যখন পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে যায়।

আপনি যেখানে আছেন তার উপর নির্ভর করে প্রতিদিনের সময় একটু পরিবর্তিত হতে পারে। তাই সঠিক সময় জানতে স্থানীয় মসজিদ বা নামাজের সময়সূচি নির্ধারণকারী অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করা যেতে পারে। কিছু জনপ্রিয় অ্যাপ যেমন Muslim Pro বা Islamic Finder আপনাকে সঠিক নামাজের সময় জানতে সাহায্য করবে।

উদাহরণস্বরূপ টোকিওর জন্য নামাজের সময়সূচি (সেপ্টেম্বর মাসে):

  • ফজর: ৪:২০ AM (প্রায়)
  • যোহর: ১১:৪৫ AM
  • আসর: ৩:১০ PM
  • মাগরিব: ৫:৪৫ PM
  • ইশা: ৭:০৫ PM

নামাজের সময় সূচি প্রতিদিন কিছুটা পরিবর্তিত হয়, তাই স্থানীয় সময় অনুসারে প্রতিদিন আপডেট সময় দেখা জরুরি।

জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল

জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল ঢাকার অন্যতম প্রধান বেসরকারি হাসপাতালগুলোর একটি। এই হাসপাতালটি বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং উন্নত মানের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে।

হাসপাতালের সম্পর্কে কিছু তথ্য:

  • অবস্থান: ধানমন্ডি, ঢাকা, বাংলাদেশ।
  • প্রতিষ্ঠা: এটি বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতিফলন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, যেখানে উভয় দেশের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত।
  • সেবা: এই হাসপাতাল উন্নত প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের দ্বারা চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। হাসপাতালটিতে রয়েছে আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা যেমন সার্জারি, কার্ডিওলজি, ডায়াগনস্টিক সেবা, এবং নানান ধরনের বিশেষায়িত চিকিৎসা বিভাগ।
  • সুবিধাসমূহ: অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (ICU), রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, এবং জরুরি সেবা প্রদান করা হয়।

জনপ্রিয় সেবাসমূহ:

  1. কার্ডিওলজি: হৃদরোগ সম্পর্কিত বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা।
  2. অর্থোপেডিকস: হাড় ও সংক্রান্ত চিকিৎসা।
  3. নেফ্রোলজি: কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা এবং ডায়ালাইসিস।
  4. জরুরি সেবা: ২৪/৭ জরুরি সেবা এবং অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা।
  5. সার্জারি: জেনারেল ও বিশেষায়িত সার্জারি।

যোগাযোগ:

আপনার যদি আরও তথ্য প্রয়োজন হয়, তবে সরাসরি হাসপাতালে যোগাযোগ করতে পারেন বা তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা ফোন নম্বর থেকে বিস্তারিত জানতে পারেন।

জাপানের প্রধান খাদ্য

জাপানের প্রধান খাদ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে ভাত (গোম্বা), যা তাদের দৈনন্দিন খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভাত সাধারণত মাছ, শাকসবজি এবং মাংসের সাথে পরিবেশন করা হয়। জাপানি খাবারের অন্যান্য বিশেষত্ব হলো:

১. সুশি

নির্বাচিত মৎস্য ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে তৈরি খাবার, যা সাধারণত ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।

২. সাশিমি

কাঁচা মাছের টুকরো, যা সাধারণত সয়া সসের সাথে খাওয়া হয়।

৩. নদো (Nabe)

জাপানি স্ট্যু, যা বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং মাংস নিয়ে তৈরি করা হয়।

৪. রামেন

নুডলস এবং বিভিন্ন ধরনের স্যুপ দিয়ে তৈরি খাবার, যা জনপ্রিয় স্ন্যাক হিসেবে খাওয়া হয়।

৫. টেম্পুরা

ভাজা মাছ ও সবজি, যা একটি বিশেষ ব্যাটারে ভাজা হয় এবং সাধারণত সয়া সসের সাথে পরিবেশন করা হয়।

৬. মিসো স্যুপ

মিসো পেস্ট ও মজেজির সাথে তৈরি একটি সুস্বাদু স্যুপ।

জাপানি খাবারগুলি সাধারণত সুস্বাদু, স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর হয়, যা তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

জাপান সম্পর্কে প্রশ্নঃ

জাপানের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?

জাপানের ১ টাকা বাংলাদেশের .৮৩ টাকা।

জাপানের রাজধানীর নাম কি?

জাপানের রাজধানীর নাম টোকিও (Tokyo)। টোকিও জাপানের বৃহত্তম শহর এবং এটি দেশটির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষা কেন্দ্র। এটি বিশ্বের অন্যতম প্রধান মেগাসিটি এবং আধুনিক প্রযুক্তি, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের এক সমন্বয়।

জাপানের মুদ্রার নাম কি?

জাপানের মুদ্রার নাম ইয়েন (Yen)। ইয়েনের প্রতীক হল ¥ এবং আন্তর্জাতিকভাবে এর কোড হল JPY। ইয়েন জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংক অব জাপান দ্বারা জারি করা হয় এবং এটি বিশ্বের অন্যতম প্রধান মুদ্রা।

জাপানের প্রধানমন্ত্রীর নাম কি?

জাপানের প্রধানমন্ত্রীর নাম ফুমিও কিশিদা (Fumio Kishida)। তিনি ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। কিশিদা লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (LDP) সদস্য এবং পূর্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন।

জাপানের ১০০০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?

জাপানের ১০০০০ টাকা বাংলাদেশের ৮২৮৯.৩৫ টাকা।

জাপানের আয়তন কত বর্গ কিলোমিটার?

জাপানের মোট আয়তন প্রায় ৩৭৭,৯৮৩ বর্গ কিলোমিটার (১৪৫,৯০০ বর্গ মাইল)। এটি পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপরাষ্ট্র এবং চারটি প্রধান দ্বীপ নিয়ে গঠিত: হোনশু, হোক্কাইডো, কিউশু, এবং শিকোকু।

জাপানের ১ ইয়েন বাংলাদেশের কত টাকা?

জাপানের ১ ইয়েন বাংলাদেশের .৮৩ টাকা।

জাপানের প্রধান খাদ্য কি?

জাপানের প্রধান খাদ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে ভাত (গোম্বা), যা তাদের দৈনন্দিন খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

আমাদের শেষকথাঃ.

আশাকরি, আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে খুবই সহজে জাপানের ১০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনার যদি এই বিষয়ে আরও প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাকে জিজ্ঞাসা করতে দ্বিধাবোধ করবেন না। আজকের লেখাটি ভালো লাগলে, আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।।

Share
Tweet
Email
Prev Article
Next Article

Related Articles

স্পেন ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা | স্পেন টাকার মান কত
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা , টেক যুক্তি ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে আপনাদের …

স্পেন ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা | স্পেন টাকার মান কত

পর্তুগাল টাকার মান কত : পর্তুগাল এক ইউরো বাংলাদেশের কত টাকা
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা , টেক যুক্তি ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে আপনাদের …

পর্তুগাল টাকার মান কত : পর্তুগাল এক ইউরো বাংলাদেশের কত টাকা

About The Author

techjukti.com

Leave a Reply Cancel Reply

July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  
« May    

Recent Posts

  • Top 10 Best Hospitals in kenya: Where Compassion Meets Cutting-Edge Care
  • Top 10 Best Hospitals in Japan: Where Compassion Meets Cutting-Edge Care
  • Top 10 Best Hospitals in Lucknow: Where Compassion Meets Cutting-Edge Care
  • Top 10 Best Hospitals in New York: Where Compassion Meets Cutting-Edge Care
  • Top 10 Best Hospitals in Dubai: Where Compassion Meets Cutting-Edge Care

Tech Jukti

Online Technology Blog
Copyright © 2025 Tech Jukti
Theme by techjukti.com

Ad Blocker Detected

Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors. Please consider supporting us by disabling your ad blocker.

Refresh