আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা , টেক যুক্তি ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আজ আমি আপনাদের জানাবো এক বিটকয়েন সমান কত ডলার – বিটকয়েন প্রাইস ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
বিটকয়েন (₿) বিশ্বের সর্বপ্রথম মুক্ত-সোর্স ক্রিপ্টোকারেন্সি যেটিকে বিকেন্দ্রিক ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে পরিচিতি দেয়া হয়। এখানে লেনদেনের জন্য কোন ধরনের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান বা নিকাশ ঘরের প্রয়োজন হয় না এবং এটি কোন দেশের সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত মুদ্রা নয়।
এক বিটকয়েন সমান কত ডলার
বর্তমানে এক বিটকয়েনের মূল্য প্রায় $62,436.00 USD. ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারের পরিবর্তনশীলতার কারণে প্রায়শই পরিবর্তিত হয়। আপনি যে কোনো সময়ের সঠিক মূল্য জানতে ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ ওয়েবসাইট যেমন Binance বা Kraken পরিদর্শন করতে পারেন।
১ বিটকয়েন সমান কত টাকা
বর্তমানে এক বিটকয়েনের মূল্য প্রায় ৳8,262,884 টাকা। ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারের পরিবর্তনশীলতার কারণে প্রায়শই পরিবর্তিত হয়। আপনি যে কোনো সময়ের সঠিক মূল্য জানতে ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ ওয়েবসাইট যেমন Binance বা Kraken পরিদর্শন করতে পারেন।
বিটকয়েন হালাল না হারাম
বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী হালাল না হারাম, এটি নিয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। কিছু ইসলামিক স্কলার এবং সংস্থাগুলি বিটকয়েনকে হারাম বলে মনে করেন, অন্যরা এটিকে হালাল বলে মনে করেন নির্দিষ্ট শর্তে। নিচে কিছু সাধারণ মতামত তুলে ধরা হলো:
হারাম মতামত:
- অনিশ্চয়তা এবং ঝুঁকি: অনেক ইসলামিক স্কলার মনে করেন যে বিটকয়েনের মূল্যের বড় পরিবর্তন এবং এর সাথে সম্পর্কিত উচ্চ ঝুঁকি বিটকয়েনকে হারাম করে তোলে। ইসলামে গারার (অনিশ্চয়তা) এবং মাইসির (জুয়া) নিষিদ্ধ।
- অপরাধমূলক ব্যবহার: বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলিকে অপরাধমূলক কার্যক্রম যেমন মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসী অর্থায়ন এবং অবৈধ বাজারে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা ইসলামিক নৈতিকতার সাথে সাংঘর্ষিক।
হালাল মতামত:
- মূল্যবোধ এবং বিনিময়: কিছু স্কলার মনে করেন যে বিটকয়েন একটি সম্পদ বা বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হলে এটি হালাল হতে পারে, যেহেতু ইসলামে সম্পদ বিনিময় করা অনুমোদিত।
- প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন: বিটকয়েন এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তি একটি নতুন উদ্ভাবন, যা সঠিকভাবে এবং নৈতিকভাবে ব্যবহার করা হলে হারাম নয়। কিছু স্কলার বিশ্বাস করেন যে বিটকয়েনকে বৈধ ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, যদি এটি আইনি এবং নৈতিকভাবে সঠিক হয়।
স্কলারদের মতামত:
- মুহাম্মাদ তকী উসমানী – একজন প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার, তিনি বিটকয়েনের বিরুদ্ধে মতামত দিয়েছেন, উল্লেখ করেছেন যে এর মধ্যে অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে।
- মুফতি মুহাম্মদ আবদুল্লাহ – তিনি মনে করেন যে বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি হালাল হতে পারে যদি এটি নৈতিক এবং বৈধ ব্যবসায়িক লেনদেনে ব্যবহৃত হয়।
সারসংক্ষেপ:
বিটকয়েন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার ইসলামিক আইন অনুযায়ী হালাল না হারাম তা নির্ভর করে কীভাবে এবং কোন উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপর। স্কলারদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে এবং বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ইসলামিক ফাইন্যান্স বোর্ড ভিন্ন ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে। নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে আপনার স্থানীয় ইসলামিক স্কলার বা ফাইন্যান্স বোর্ডের সাথে পরামর্শ করা উত্তম।
বিটকয়েন কোন কোন দেশে বৈধ
বিটকয়েন বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে বৈধ এবং নিষিদ্ধ রয়েছে। এখানে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:
যেসব দেশে বিটকয়েন বৈধ এবং ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য:
- এল সালভাদর এবং মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র বিটকয়েনকে আইনসঙ্গত মুদ্রা হিসেবে গ্রহণ করেছে।
- ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ (রাশিয়া ব্যতীত) বিটকয়েন ব্যবহারকে অনুমোদন করেছে ।
- যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, এবং সিঙ্গাপুর বিটকয়েন লেনদেন এবং ব্যবহারের জন্য স্পষ্ট নিয়মাবলী রয়েছে।
যেসব দেশে বিটকয়েনের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে:
- চীন সমস্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন এবং খনন নিষিদ্ধ করেছে।
- ভারত ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন অনুমোদন করলেও এটিকে পেমেন্ট পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।
- মিশর , মরোক্কো, এবং বলিভিয়া বিটকয়েনের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, বিভিন্ন কারণে যেমন ইসলামিক আইন বা আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে।
যেসব দেশে বিটকয়েনের ওপর নিরপেক্ষ অবস্থান বা আংশিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে:
- রাশিয়া স্পষ্ট নিয়মাবলী নির্ধারণের পথে রয়েছে কিন্তু বিটকয়েন পুরোপুরি বৈধ করেনি।
- নাইজেরিয়া ব্যাংকগুলিকে বিটকয়েন লেনদেন নিষিদ্ধ করেছে, তবে ব্যক্তিগতভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাণিজ্য করতে পারবে।
- তুরস্ক বিটকয়েন রাখার অনুমতি দেয় তবে পেমেন্টের জন্য এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।
বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ
বাংলাদেশে বিটকয়েনের ব্যবহার এবং লেনদেন নিষিদ্ধ। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৭ সালে বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার নিষিদ্ধ করে একটি সার্কুলার জারি করেছে। এই সার্কুলারে বলা হয়েছে যে বিটকয়েন কোনও বৈধ বা অনুমোদিত মুদ্রা নয় এবং এটি ব্যবহার করলে মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসী অর্থায়ন সংক্রান্ত আইন ভঙ্গ হতে পারে।
বাংলাদেশ সরকার এখন ডিজিটাল মুদ্রার সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা করছে, যাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিজিটাল মুদ্রা (CBDC) চালু করা যায়। এই মুদ্রা হবে ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে।
কিভাবে বিটকয়েন কেনা যায়
বিটকয়েন কেনার জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এখানে একটি সাধারণ প্রক্রিয়া দেওয়া হলো:
1. বিটকয়েন ওয়ালেট সেট আপ করুন:
বিটকয়েন কেনার আগে আপনাকে একটি বিটকয়েন ওয়ালেট তৈরি করতে হবে যেখানে আপনি আপনার বিটকয়েন সংরক্ষণ করবেন। কিছু জনপ্রিয় বিটকয়েন ওয়ালেট:
- বিটকয়েন কোর: মূল বিটকয়েন ওয়ালেট
- এক্সোডাস: সহজেই ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা
- ব্লকচেইন ওয়ালেট: জনপ্রিয় এবং নিরাপদ
- লেজার বা ট্রেজার: হার্ডওয়্যার ওয়ালেটগুলি যা আরও নিরাপত্তা প্রদান করে
2. ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ নির্বাচন করুন:
বিটকয়েন কেনার জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ নির্বাচন করতে হবে। কিছু জনপ্রিয় এক্সচেঞ্জ:
- বিনান্স (Binance)
- কয়েনবেস (Coinbase)
- ক্রাকেন (Kraken)
- বিটস্ট্যাম্প (Bitstamp)
3. এক্সচেঞ্জে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন:
এক্সচেঞ্জে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। সাধারণত আপনাকে কিছু ব্যক্তিগত তথ্য এবং পরিচয় যাচাইকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
4. অ্যাকাউন্টে ফান্ড যোগ করুন:
আপনার এক্সচেঞ্জ অ্যাকাউন্টে অর্থ যোগ করতে হবে। আপনি ব্যাংক ট্রান্সফার, ক্রেডিট কার্ড, বা অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। এক্সচেঞ্জ অনুসারে এই প্রক্রিয়া ভিন্ন হতে পারে।
5. বিটকয়েন কেনা:
অ্যাকাউন্টে ফান্ড যোগ করার পরে, আপনি বিটকয়েন কেনার অর্ডার দিতে পারবেন। আপনি বাজার মূল্য অনুযায়ী সরাসরি বিটকয়েন কিনতে পারেন বা আপনার পছন্দের মূল্য নির্ধারণ করে সীমা অর্ডার দিতে পারেন।
6. বিটকয়েন ওয়ালেটে স্থানান্তর:
বিটকয়েন কেনার পর এটি আপনার ব্যক্তিগত বিটকয়েন ওয়ালেটে স্থানান্তর করুন। এটি আপনার বিটকয়েনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।
সতর্কতাঃ
- সিকিউরিটি: আপনার বিটকয়েন নিরাপদ রাখতে দুই স্তরের প্রমাণীকরণ (2FA) এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
- বাজার ঝুঁকি: বিটকয়েনের মূল্যবোধ অনেক পরিবর্তনশীল, তাই বিনিয়োগ করার আগে সতর্ক থাকুন।
কিছু উপকারী লিঙ্ক:
- Coinbase
- Binance
- Kraken
বিটকয়েন কেনা এবং ব্যবহার করা নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে উপরের লিঙ্কগুলি পরিদর্শন করতে পারেন।
বিটকয়েন থেকে বিকাশ
বিটকয়েন থেকে বিকাশে অর্থ স্থানান্তর করা একটি জটিল প্রক্রিয়া, কারণ বিকাশ সরাসরি ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন সমর্থন করে না। তবে আপনি কিছু ধাপ অনুসরণ করে এটি করতে পারেন। এখানে একটি সাধারণ প্রক্রিয়া বর্ণনা করা হলো:
1. বিটকয়েন বিক্রি করে ফিয়াট মুদ্রা প্রাপ্তি:
প্রথমে আপনাকে বিটকয়েন বিক্রি করে ফিয়াট মুদ্রা (যেমন USD, EUR, BDT) পেতে হবে। আপনি একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করতে পারেন যেমন:
- বিনান্স (Binance)
- কয়েনবেস (Coinbase)
- ক্রাকেন (Kraken)
- লোকালবিটকয়েনস (LocalBitcoins)
2. ফিয়াট মুদ্রা স্থানান্তর:
একবার আপনি বিটকয়েন বিক্রি করে ফিয়াট মুদ্রা পেয়ে গেলে, আপনাকে সেই অর্থ আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে হবে। এক্সচেঞ্জ অনুসারে, আপনি ব্যাংক ট্রান্সফার, পেপাল, বা অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।
3. বিকাশে ফান্ড স্থানান্তর:
আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করার পর, আপনি আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টে অর্থ পাঠাতে পারবেন। এজন্য আপনি নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করতে পারেন:
- মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ: আপনার ব্যাংক মোবাইল অ্যাপ থেকে সরাসরি বিকাশ অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করতে পারেন।
- এটিএম: আপনার ব্যাংক কার্ড ব্যবহার করে এটিএম থেকে বিকাশ অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করতে পারেন।
- বিকাশ এজেন্ট: আপনার নিকটবর্তী বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বিকাশ অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করতে পারেন।
সতর্কতাঃ
- ফি: প্রতিটি ধাপে কিছু ফি কাটানো হতে পারে। বিশেষ করে বিটকয়েন বিক্রি এবং ব্যাংক ট্রান্সফার করার সময়।
- নিরাপত্তা: প্রতিটি ধাপে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং অ্যাকাউন্ট নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
কিছু উপকারী লিঙ্ক:
- Binance
- Coinbase
- Kraken
- LocalBitcoins
আপনার পরিস্থিতি অনুযায়ী এই ধাপগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। তাই সঠিকভাবে প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করতে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা পেতে সংশ্লিষ্ট পরিষেবা প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করা উত্তম।
বিটকয়েন কিভাবে তৈরি হয়
বিটকয়েন তৈরি হয় একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যা “মাইনিং” নামে পরিচিত। বিটকয়েন মাইনিং হল একটি ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং প্রক্রিয়া যেখানে মাইনিং পুল বা মাইনিং রিগগুলির একটি নেটওয়ার্ক জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধান করে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন বিটকয়েন তৈরি হয় এবং লেনদেনগুলি যাচাই ও সংযুক্ত হয় ব্লকচেইনে। নিচে এই প্রক্রিয়াটি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:
1. ব্লকচেইন প্রযুক্তি:
বিটকয়েন একটি ব্লকচেইন ভিত্তিক ডিজিটাল মুদ্রা। ব্লকচেইন হল একটি বিতরণকৃত লেজার যেখানে সমস্ত বিটকয়েন লেনদেন রেকর্ড করা হয়। প্রতিটি ব্লক একটি লেনদেনের গ্রুপ ধারণ করে এবং এটি পূর্ববর্তী ব্লকের সাথে ক্রিপ্টোগ্রাফিকভাবে সংযুক্ত থাকে, ফলে একটি শৃঙ্খলা তৈরি হয়।
2. মাইনিং প্রক্রিয়া:
মাইনিং প্রক্রিয়ায়, মাইনিং রিগগুলি (বিশেষায়িত কম্পিউটার) জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রতিযোগিতা করে। এই সমস্যাগুলির সমাধান করা খুব কঠিন, তবে সমাধানটি যাচাই করা সহজ। মাইনিং প্রক্রিয়ার ধাপগুলি নিম্নরূপ:
- লেনদেন সংগ্রহ: মাইনিং রিগগুলি বিটকয়েন নেটওয়ার্ক থেকে আসা লেনদেনগুলি সংগ্রহ করে।
- ব্লক তৈরি: এই লেনদেনগুলি একটি নতুন ব্লকে প্যাকেজ করা হয়।
- গাণিতিক সমস্যা সমাধান: মাইনিং রিগগুলি একটি জটিল ক্রিপ্টোগ্রাফিক পাজলের সমাধান খোঁজে। এই পাজলটির সমাধান পাওয়া গেলে, এটি ব্লকচেইনে নতুন ব্লকটি যোগ করার অনুমতি পায়।
- ইনসেনটিভ: নতুন ব্লক তৈরি করার জন্য মাইনিং রিগটি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বিটকয়েন ইনসেনটিভ হিসাবে পায়। এই ইনসেনটিভ হল নতুন বিটকয়েন যা সিস্টেমে প্রবেশ করে।
3. প্রুফ অব ওয়ার্ক (PoW):
বিটকয়েন মাইনিং প্রক্রিয়াটি প্রুফ অব ওয়ার্ক (PoW) প্রোটোকল দ্বারা পরিচালিত হয়। এটি নিশ্চিত করে যে নতুন ব্লকটি যোগ করার জন্য মাইনিং রিগটি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কম্পিউটিং কাজ করেছে।
4. ডিফিকাল্টি অ্যাডজাস্টমেন্ট:
মাইনিং প্রক্রিয়ার জটিলতা নিয়মিতভাবে সামঞ্জস্য করা হয় যাতে প্রতি 10 মিনিটে একটি নতুন ব্লক তৈরি হয়। যখন মাইনিং রিগগুলির সংখ্যা বৃদ্ধি পায় বা কম্পিউটিং ক্ষমতা বাড়ে, জটিলতাও বৃদ্ধি পায়।
5. বিটকয়েন সীমা:
মোট ২১ মিলিয়ন বিটকয়েন তৈরি করা হবে। প্রতি চার বছর পর পর মাইনিং ইনসেনটিভ অর্ধেক হয়ে যায়, যার ফলে শেষ পর্যন্ত ২১ মিলিয়ন বিটকয়েন তৈরি হবে।
বিটকয়েন মাইনিং সম্পর্কে আরও জানতে, আপনি নিম্নলিখিত লিঙ্কগুলো দেখতে পারেন:
- Bitcoin Mining – Investopedia
- How Bitcoin Mining Works – CoinDesk
- Bitcoin Mining: What Is It And How Does It Work? – Forbes
বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিটকয়েন একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে একটি ডিজিটাল ওয়ালেট তৈরি করতে হবে যেখানে আপনি আপনার বিটকয়েন সঞ্চয় করতে পারবেন। এখানে বিটকয়েন ওয়ালেট খোলার ধাপগুলি বর্ণনা করা হলো:
1. ওয়ালেট নির্বাচন করুন:
বিটকয়েন সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়ালেট উপলব্ধ রয়েছে। কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়ালেটের নাম নিচে দেওয়া হলো:
- অনলাইন ওয়ালেট: Coinbase, Blockchain.info
- মোবাইল ওয়ালেট: Mycelium, Trust Wallet
- ডেস্কটপ ওয়ালেট: Electrum, Exodus
- হার্ডওয়্যার ওয়ালেট: Ledger, Trezor
2. ওয়ালেট ডাউনলোড ও ইনস্টল করুন:
আপনার পছন্দের ওয়ালেটটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করুন এবং এটি আপনার ডিভাইসে ইনস্টল করুন। মোবাইল ওয়ালেটগুলির জন্য অ্যাপ স্টোর বা গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারেন।
3. ওয়ালেট সেটআপ করুন:
ওয়ালেট ইনস্টল করার পরে, এটি খুলুন এবং একটি নতুন ওয়ালেট তৈরি করুন। আপনাকে কিছু তথ্য সরবরাহ করতে হবে, যেমন:
- পাসওয়ার্ড: একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করুন যা আপনার ওয়ালেট সুরক্ষিত রাখবে।
- ব্যাকআপ ফ্রেজ: ওয়ালেট আপনাকে একটি ব্যাকআপ ফ্রেজ প্রদান করবে, যা সাধারণত ১২ থেকে ২৪টি শব্দ নিয়ে গঠিত। এটি সংরক্ষণ করুন এবং নিরাপদ স্থানে রাখুন, কারণ এটি আপনার ওয়ালেট পুনরুদ্ধার করতে প্রয়োজন হবে।
4. ওয়ালেট অ্যাড্রেস প্রাপ্তি:
আপনার ওয়ালেট তৈরি হলে, আপনি একটি বিটকয়েন অ্যাড্রেস পাবেন। এই অ্যাড্রেসটি ব্যবহার করে আপনি বিটকয়েন গ্রহণ করতে পারবেন। এটি সাধারণত একটি দীর্ঘ আলফানিউমেরিক স্ট্রিং।
5. বিটকয়েন গ্রহণ এবং পাঠানো:
ওয়ালেট সেটআপ হয়ে গেলে, আপনি বিটকয়েন গ্রহণ এবং পাঠাতে পারবেন। বিটকয়েন গ্রহণ করতে, আপনার বিটকয়েন অ্যাড্রেসটি ব্যবহার করুন এবং বিটকয়েন পাঠাতে, প্রাপক অ্যাড্রেসটি ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় পরিমাণ বিটকয়েন পাঠান।
6. নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন:
- দুই স্তরের প্রমাণীকরণ (2FA): যদি আপনার ওয়ালেট 2FA সমর্থন করে, এটি সক্রিয় করুন।
- ব্যাকআপ: নিয়মিত আপনার ওয়ালেটের ব্যাকআপ নিন এবং ব্যাকআপ ফ্রেজ নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করুন।
কিছু উপকারী লিঙ্ক:
এই ধাপগুলি অনুসরণ করে আপনি সহজেই একটি বিটকয়েন ওয়ালেট তৈরি করতে এবং বিটকয়েন ব্যবহার করতে পারবেন।
বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে
বিটকয়েন একটি ডিজিটাল মুদ্রা যা ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে কাজ করে। এটি বিকেন্দ্রীকৃত, অর্থাৎ কোনও কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ বা ব্যাংক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে তা বোঝার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু নিচে দেওয়া হলো:
1. ব্লকচেইন:
বিটকয়েনের মূল ভিত্তি হল ব্লকচেইন। এটি একটি পাবলিক লেজার যেখানে সমস্ত লেনদেন রেকর্ড করা হয়। প্রতিটি লেনদেন একটি ব্লকে রেকর্ড হয় এবং প্রতিটি ব্লক ক্রিপ্টোগ্রাফিকভাবে পূর্ববর্তী ব্লকের সাথে সংযুক্ত থাকে, ফলে একটি ব্লকচেইন তৈরি হয়।
2. বিটকয়েন লেনদেন:
বিটকয়েন লেনদেনগুলি ডিস্ট্রিবিউটেড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ঘটে। প্রতিটি লেনদেন একটি ডিজিটাল স্বাক্ষর দ্বারা স্বাক্ষরিত হয় যা প্রেরকের ব্যক্তিগত কী থেকে তৈরি হয়। লেনদেনের তথ্য এবং স্বাক্ষর একত্রে একটি ব্লকে যোগ করা হয় এবং তা ব্লকচেইনে রেকর্ড করা হয়।
3. মাইনিং:
বিটকয়েন মাইনিং হল একটি প্রক্রিয়া যেখানে মাইনিং রিগগুলি (বিশেষায়িত কম্পিউটার) জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করে এবং নতুন ব্লক তৈরি করে। এই প্রক্রিয়ায় লেনদেনগুলি যাচাই করা হয় এবং ব্লকচেইনে সংযুক্ত করা হয়। সফলভাবে ব্লক তৈরি করা মাইনারদের নতুন বিটকয়েন দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।
4. প্রুফ অব ওয়ার্ক (PoW):
বিটকয়েন মাইনিং প্রক্রিয়া প্রুফ অব ওয়ার্ক (PoW) প্রোটোকল দ্বারা পরিচালিত হয়। এটি একটি ক্রিপ্টোগ্রাফিক পাজল যা সমাধান করতে অনেক কম্পিউটিং শক্তি প্রয়োজন। এই প্রোটোকলটি নিশ্চিত করে যে নতুন ব্লকটি যোগ করার জন্য মাইনাররা যথেষ্ট কাজ করেছে।
5. বিকেন্দ্রীকরণ:
বিটকয়েন বিকেন্দ্রীকৃত হওয়ার কারণে এটি কোনও কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। এটি একটি পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যেখানে প্রতিটি পিয়ার নেটওয়ার্কের একটি সম্পূর্ণ কপি ধারণ করে এবং সমস্ত লেনদেন যাচাই করতে সক্ষম হয়।
6. কী পদ্ধতি:
বিটকয়েন লেনদেন এবং সুরক্ষার জন্য পাবলিক কী এবং প্রাইভেট কী ব্যবহৃত হয়।
- পাবলিক কী: এটি বিটকয়েন অ্যাড্রেসের মত কাজ করে এবং অন্যদের সাথে শেয়ার করা যায় যাতে তারা বিটকয়েন পাঠাতে পারে।
- প্রাইভেট কী: এটি গোপন রাখা উচিত এবং এটি বিটকয়েন অ্যাক্সেস এবং লেনদেন সম্পন্ন করতে ব্যবহৃত হয়।
বিটকয়েন কীভাবে কাজ করে তা নিয়ে আরও জানতে আপনি নিম্নলিখিত লিঙ্কগুলি দেখতে পারেন:
এই তথ্যগুলি বিটকয়েনের কার্যপ্রণালী সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারণা প্রদান করে
বিটকয়েন সম্পর্কে প্রশ্নঃ
১ বিটকয়েন সমান কত সাতোশি?
১ বিটকয়েন সমান ১৮,১৯,০৯,৮৪,৩০,৫৬,০৪২০৮ সাতোশি।
১ বিটকয়েন কত টাকা?
১ বিটকয়েন প্রায় ৳8,262,884 টাকা।
একটা বিটকয়েনের দাম কত?
একটা বিটকয়েনের দাম প্রায় ৳8,262,884 টাকা।
বিটকয়েন প্রাইস ইন বাংলাদেশ?
বিটকয়েন প্রাইস ইন বাংলাদেশ প্রায় ৳8,262,884 টাকা।
বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ?
বিটকয়েন বাংলাদেশে বৈধ না।
আমাদের শেষকথাঃ
আশাকরি, আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে খুবই সহজে এক বিটকয়েন সমান কত ডলার – বিটকয়েন প্রাইস ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনার যদি এই বিষয়ে আরও প্রশ্ন থাকে, তাহলে আমাকে জিজ্ঞাসা করতে দ্বিধাবোধ করবেন না। আজকের লেখাটি ভালো লাগলে, আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।।
Good business
Thank You