আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা , টেক যুক্তি ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।আজ আমি আপনাদের জানাবো বাংলাদেশে আগর গাছের চারার দাম কত ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
আগর গাছ, যা Aquilaria malaccensis নামেও পরিচিত, এটি Thymelaeaceae পরিবারের একটি সুগন্ধি উদ্ভিদ। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থানীয় এবং এর কাঠ থেকে তৈরি আতর বিশ্বের সবচেয়ে দামী আতরগুলির মধ্যে একটি।বাংলাদেশে আগর গাছ বন বিভাগ দ্বারা সংরক্ষিত একটি বিরল প্রজাতি। চট্টগ্রাম, সিলেট এবং ময়মনসিংহের কিছু অঞ্চলে এটি পাওয়া যায়।
আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশে আগর গাছের চারার দাম কত ২০২৪.
আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের জানাবো বাংলাদেশে আগর গাছের চারার দাম কত ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
বাংলাদেশে আগর গাছের চারার দাম কত
বাংলাদেশে আগর গাছের চারার দাম বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। চারার বয়সের উপর আগর গাছের চারার দাম নির্ভর করে। ছোট চারা (6 মাস – 1 বছর) বড় চারার (2 বছর বা তার বেশি) তুলনায় কম দামি। উন্নত জাতের চারা (যেমন সুপার, ক্রিশ্ণা) স্থানীয় জাতের চারার তুলনায় বেশি দামি।বিভিন্ন এলাকায় দাম আলাদা হতে পারে। চারার চাহিদা বেশি থাকলে দাম বেশি হতে পারে।
বাংলাদেশে আগর গাছের চারার দামের গাইড দেওয়া হল:
| চারার ধরণ | দাম (টাকা/প্রতি চারা) |
| ছোট চারা (6 মাস – 1 বছর) | 500 – 1,000 |
| মাঝারি চারা (1-2 বছর) | 1,000 – 2,000 |
| বড় চারা (2 বছর বা তার বেশি) | 2,000 – 5,000 |
| উন্নত জাতের চারা | 5,000 – 10,000 |
নোটঃ এই দামগুলি আনুমানিক এবং বিভিন্ন বিক্রেতা, এলাকা এবং চারার জাতের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। উন্নত জাতের চারা সুপার, ক্রিশ্ণা ইত্যাদি নামে পরিচিত। আগর গাছের চারা কেনার সময় বিশ্বস্ত বিক্রেতা নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ এবং চারার স্বাস্থ্য ও বয়স পরীক্ষা করা উচিত।
আগর গাছের চারা কোথায় পাবেনঃ
- বন বিভাগের নার্সারি: সরকারি নার্সারিগুলিতে সাধারণত স্থানীয় জাতের চারা কম দামে পাওয়া যায়।
- বেসরকারি নার্সারি: বেসরকারি নার্সারিগুলিতে বিভিন্ন জাতের চারা পাওয়া যায়, তবে দাম বেশি হতে পারে।
- অনলাইন প্ল্যাটফর্ম: বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেমন Facebook, Bikroy.com, Chaldal আগর গাছের চারা বিক্রি করে।
আগর গাছের চারা কেনার সময় কিছু টিপস:
- বিশ্বস্ত বিক্রেতার কাছ থেকে কিনুন।
- চারার বয়স, জাত এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন।
- দাম তুলনা করুন।
- প্রয়োজনে চারা কেনার পর পরামর্শের জন্য একজন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
আগর গাছের বৈশিষ্ট্য
| বৈশিষ্ট্য | বিবরণ |
| গাছের ধরণ | চিরসবুজ বৃক্ষ |
| উচ্চতা | 20 থেকে 40 মিটার পর্যন্ত |
| বাকল | মসৃণ, ধূসর-বাদামী |
| পাতা | লম্বা, চিকন, তীক্ষ্ণাগ্ৰ |
| ফুল | ছোট, সাদা, সুগন্ধি |
| ফল | শুষ্ক, ক্যাপসুল-সদৃশ |
আমাদের শেষকথাঃ
আশাকরি, আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে খুবই সহজে বাংলাদেশে আগর গাছের চারার দাম কত ২০২৪ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনার যদি এই বিষয়ে আরও প্রশ্ন থাকে, তাহলে আমাকে জিজ্ঞাসা করতে দ্বিধাবোধ করবেন না। আজকের লেখাটি ভালো লাগলে, আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।।
বরিশাল অঞ্ছলে রোপনের উপযোগী জাত কোনটি ?
শুনেছি আগর রোপনের ৪/৫ বছর পর রাবার গাছের মত তেল আহরন করা যায় ? বিষয়টি সত্য কিনা ?
যদি সত্য হয় তাহলে আহরনের প্রক্রিয়া কি দয়া করে জানাবেন ।
আগর গাছের চারা বরিশাল অঞ্চলে রোপণের জন্য উপযুক্ত জাত হলো ‘Aquilaria malaccensis’ বা ‘Aquilaria crassna’। এগুলি হলো আগর গাছের এমন কিছু জাত যা বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ুর সাথে বেশ ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারে।
আগর গাছ থেকে তেল আহরণের প্রক্রিয়া মূলত দীর্ঘমেয়াদি এবং কয়েকটি ধাপে বিভক্ত। সাধারণত আগর গাছ রোপণের ৮-১২ বছর পরে তেল আহরণের উপযুক্ত হয়ে ওঠে। এটি ৪/৫ বছরে তেল আহরণের জন্য উপযুক্ত হয় না।
আগর তেল আহরণের ধাপসমূহ
ইনোকুলেশন:
গাছের কাণ্ডে ছোট ছোট ছিদ্র করা হয় এবং এগুলিতে বিশেষ ধরনের ফাঙ্গাস প্রবেশ করানো হয়। এই ফাঙ্গাসগুলি কাঠের মধ্যে রেজিন তৈরি করতে সাহায্য করে যা পরে আগর তেল হিসেবে সংগ্রহ করা হয়।
কাঠ সংগ্রহ:
গাছগুলি পর্যাপ্ত পরিমাণে রেজিন উৎপাদন করার পরে, সেগুলি কেটে ফেলা হয় এবং কাঠ সংগ্রহ করা হয়।
কাঠের প্রক্রিয়াজাতকরণ:
সংগৃহীত কাঠগুলি ছোট ছোট টুকরো করা হয় এবং সেগুলি পানিতে ভেজানো হয়।
ডিস্টিলেশন:
ভেজানো কাঠগুলি বিশেষ ধরনের ডিস্টিলেশন মেশিনে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় তেলটি কাঠ থেকে বেরিয়ে আসে।
সংগ্রহ:
প্রক্রিয়াজাতকৃত তেল সংগ্রহ করে তা পরিশোধিত করা হয়।
আগর তেল উৎপাদন একটি জটিল প্রক্রিয়া এবং সময়সাপেক্ষ। এছাড়া, তেল আহরণের জন্য অভিজ্ঞতা এবং নির্দিষ্ট প্রযুক্তির প্রয়োজন হয়। তাই, এটি শুরু করার আগে যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।